হিন্দু পঞ্জিকা মতে আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথি গুরু পূর্ণিমা হিসেবে পালিত হয়। এদিন মহর্ষি বেদব্যাসের জন্মদিবস। এদিনই গুরু-শিষ্যের সম্পর্কের উৎসব হিসেবে পালিত হয়। বেদের জ্ঞান দিয়েছিলেন মহর্ষি বেদব্যাস। তাঁকে আদিগুরু মনে করা হয়। শনির সাড়েসাতি ও আড়াইয়ের প্রকোপে ত্রস্ত রাশিদের জন্য গুরু পূর্ণিমা একটি ভালো সুযোগ। শনির সাড়েসাতি ও আড়াইয়ের প্রকোপ রয়েছে এমন ৫ রাশির জাতকরা গুরু পূর্ণিমার দিনে বিশেষ উপায় করলে সুফল পেতে পারেন।
জ্যোতিষ মতে চলতি বছর গুরু পূর্ণিমার দিনে বিশেষ যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। চলতি বছর ধনু, মকর, কুম্ভ, মিথুন ও তুলা রাশির জাতকদের ওপর শনির সাড়েসাতি ও আড়াইয়ের প্রকোপ রয়েছে।
শনিকে প্রসন্ন করার জন্য এই পাঁচ রাশির জাতকরা গুরু পূর্ণিমার দিনে কী উপায় করবেন--
১. এই পাঁচ রাশির জাতকরা শনিকে প্রসন্ন করার জন্য অশ্বত্থ গাছের তলায় সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালান। শনি মন্দিরেও প্রদীপ রাখুন।
২. আবার গুরু পূর্ণিমার দিনে অশ্বত্থ গাছের ৭ বার পরিক্রমা করুন। এ সময় ওম শং শনৈশ্চরায় নমঃ মন্ত্র জপ করুন। শনির কুদৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য প্রতি শনিবার এই উপায় করতে পারেন।
৩. কালো তিল মেশানো জল দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করলে ও শিবের পুজো করলে শনির প্রকোপ থেকে বাঁচা যায়।
৪. শনিবার কলো বা যে কোনও কুকুরকে সরষের তেল লাগানো রুটি খাওয়ান।
৫. দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিদের সরষের তেল, কালো ডাল, লোহার জিনিস, কালো বস্ত্র দান করুন।
৬. বজরংবলীর আরাধনা করলে শনির কুনজর থেকে বাঁচা যায়।