হিন্দু ধর্ম শাস্ত্র অনুযায়ী চৈত্র শুক্ল পূর্ণিমার জন্মগ্রহণ করেছিলেন বজরংবলী। চলতি বছর ১৬ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তী। এদিন নিয়ম মেনে বজরংবলীর পুজো করা হয়। চলতি বছর বিশেষ যোগে হনুমান জয়ন্তীর পুজো হবে। এই যোগটি হনুমান জয়ন্তীকে আরও বিশেষ করে তুলছে।
সংকট মোচন, অঞ্জনী সুত, পবনপুত্র, সীতা শোক নিবাসন, লক্ষণ প্রাণ দাতা ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। এদিন নিয়ম মেনে বজরংবলীর পুজো করলে শত্রুদের পরাজিত করা যায়। এর ফলে আর্থিক অনটন থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।
হনুমান জয়ন্তীর শুভক্ষণ
১৬ এপ্রিল (শনিবার) রাত ২টো ২৪ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে। ১৭ এপ্রিল (রবিবার) দুপুর ১২টা ২৩ মিনিটে সমাপ্ত হবে এই তিথি। এদিন হস্ত ও চিত্রা নক্ষত্র থাকবে। হনুমান জয়ন্তীর দিনে ভোর ৫টা ৫৬ মিনিট থেকে সকাল ৮টা ৩৯ মিনিট পর্যন্ত রবি যোগ থাকবে। রবি যোগে ঈশ্বরের পুজো করা অত্যন্ত শুভ। জ্যোতিষে রবি যোগে পূজার্চনা করলে দ্বিগুণ ফল লাভ করা যায়।
হনুমান জয়ন্তীর পুজোর নিয়ম
এদিন অনেকে উপবাস রাখেন। পাশাপাশি একাধিক নিয়ম পালন করতে হয়। এদিন বজরংবলীর মূর্তিতে পইতে অর্পণ করা হয়। তার মূর্তিতে সিঁদূর ও রুপোর রাংতা অর্পণ করা হয়। সন্ধ্যাবেলা দক্ষিণমুখী হনুমান মূর্তির সামনে বজরংবলীর মন্ত্র জপ করা ফলদায়ক। এদিন হনুমান চালিসা ও রামচরিত মানসের সুন্দরকাণ্ড পাঠ করা হয়। অবশেষে বজরংবলীর আরতি করে পুজো সম্পন্ন করা হয়। পুজোয় ওম মঙ্গলমূর্তি হনুমতে নমঃ উচ্চারণ করতে ভুলবেন না।