ওম সম্পূর্ণ ব্রহ্মাণ্ডের উৎপত্তি ও সৃষ্টির কেন্দ্র। অসীমিত শক্তি ও সম্পন্নতার প্রতীক ওম ব্রহ্ম স্বরূপ স্বতঃসিদ্ধ শব্দ, যার নিয়মিত স্মরণ, উচ্চারণ, ধ্যান থেকে সুখ-শান্তি ও ধন-ঐশ্বর্য সমস্ত কিছু লাভ করে বিভিন্ন ধরনের রোগ ও অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর ফলে আত্মিক বল পাওয়া যায় এবং জীবনশক্তি ঊর্ধ্বগামী হয়। তাই রোগমুক্তির জন্য এবং মন ও শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য শান্ত মনে কিছুক্ষণ ওম উচ্চারণ করা উচিত।
থাইরয়েডের জন্য- ওম উচ্চারণ করলে গলায় কম্পন সৃষ্টি হয়, যা থাইরয়েড গ্রন্থির ওপর সুপ্রভাব ফেলে।
ঘাবড়ে যাওয়া কমাতে ও রক্ত চলাচলের জন্য-- যদি আপনি অধীর হয়ে থাকেন বা খুব সহজেই ঘাবড়ে যান, তা হলে ওম উচ্চারণের ফলে তা কিছুক্ষণের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়। ওম উচ্চারণের ফল হৃদয়ে রক্ত চলাচলে ভারসাম্য বজায় থাকে।
অবসাদের জন্য— এটি শরীরের বিষাক্ত উপাদান দূর করে। অর্থাৎ অবসাদের জন্য শরীরে সৃষ্ট উপাদান নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর ফলে পুরো শরীর অবসাদমুক্ত হয়।
পাচনক্রিয়া ও স্ফূর্তির জন্য— নিয়মিত ওম উচ্চারণ করলে পাচন ক্রিয়া দ্রুত হয়। এর ফলে মুখমন্ডলে উজ্জ্বলতা আসে, শরীরে স্ফূর্তির সঞ্চার হয়। ক্লান্তির হাত থেকে মুক্তির জন্য এর চেয়ে অন্য কোনও ভালো উপায় নেই।
ঘুমের জন্য— রাতে ঘুম না-এলে মনে মনে এর উচ্চারণ করলে অবশ্যই ঘুম আসবে।
সুস্থ ফুসফুসের জন্য— বিশেষ কয়েকটি প্রাণায়ামের সঙ্গে ওম উচ্চারণ করলে ফুসফুস মজবুত হয়।
মেরুদণ্ডের জন্য— ওমের প্রথম শব্দ উচ্চারণ করলে কম্পন সৃষ্টি হয়। এই কম্পনের ফলে মেরুদণ্ড প্রাভাবিত হয় ও এর ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
বাস্তুদোষ নিবারণে সহায়ক— বাস্তুবিজ্ঞান অনুযায়ী বাস্তুদোষের কারণে উৎপন্ন অনিষ্ট প্রভাব দূর করার জন্য ওম-এর ব্যবহার লাভকারী। এটি সমস্ত মাঙ্গলিক চিহ্নের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। দরজায় ওম চিহ্ন রাখলে অশুভ শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। কোনও কক্ষের বাস্তুদোষ কাটানোর জন্য এটি লাগাতে পারেন, তবে মনে রাখবেন, কোনও অপবিত্র স্থানে এটি লাগানো উচিত নয়। ওম উচ্চারণ করলে আশপাশের পরিবেশে ধনাত্মক শক্তির সঞ্চার হয়। অশুভ শক্তি, রোগ, দুঃশ্চিন্তা, দুঃখ ইত্যাদি নষ্ট হয়। বাড়ির বাস্তুদোষ দূর করার জন্য ওম জপের সময় জল ভর্তি বাটি সামনে রাখুন ও জপ শেষ হলে সেই জল পুরো ঘরে ছিটিয়ে দেওয়া উচিত। বেশ কয়েকদিন এমন করলে ধীরে ধীরে অশুভ শক্তির প্রভাব কম হয়। এর ফলে পরিবারে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হয়।