হস্তরেখা শাস্ত্রে স্বাস্থ্যরেখার গুরুত্ব রয়েছে। প্রায় সকলেরই হাতে অন্যান্য রেখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যরেখা থাকে, যার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করে কোনও ব্যক্তির জীবনে রোগ সম্পর্কে ধারণা করা যায়।
এই রেখা বুধ পর্বত থেকে শুরু হয়ে চন্দ্র পর্বতকে ছেদ করে হাতের নীচের দিকে এগিয়ে যায়। এই রেখার দৈর্ঘ্য, গভীরতা, স্পষ্টতা এবং এর ওপর তৈরি চিহ্ন বিচার করে বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে ধারণা করা যায়। এর সাহায্যে জানা যেতে পারে, ব্যক্তি ভবিষ্যতে কোন ধরনের রোগে আক্রান্ত হবেন। আবার ব্যক্তি কোনও সংক্রামক ব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত হবেন কি-না, তা-ও জানা যায়।
১) হাতে স্বাস্থ্যরেখার অনুপস্থিতি শুভ মনে করা হয়। স্বাস্থ্য রেখা না-থাকলে, ব্যক্তি জীবনে কখনও কোনও বড় ও গভীর রোগে আক্রান্ত হন না।
২) স্বাস্থ্যরেখা পাতলা, গভীর এবং লাল হলে, সেই ব্যক্তির রক্ত বিকার হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে ডায়াবিটিস, ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টেরল ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
৩) স্বাস্থ্যরেখা নিচের দিকে যাওয়ার সময় যদি জীবনরেখার সঙ্গে মিলে যায়, তাহলে ব্যক্তি সারা জীবন কোনও না-কোনও রোগে আক্রান্ত থাকেন।
৪) আবার স্বাস্থ্য রেখা নিচের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় তালু থেকে বেরিয়ে গিয়ে মণিবন্ধকে স্পর্শ করলে, সেটি দুর্ঘটনাজনিত কারণে স্থায়ী পঙ্গুত্বের দিকে ইঙ্গিত করে।
৫) এই রেখা যদি হৃদয়রেখা থেকে শুরু হয়, তাহলে হৃদরোগের ভয় থেকে যায়।
৬) এই রেখার বিভিন্ন স্থানে যদি লাল রংয়ের চিহ্ন থাকে তাহলে তা, জ্বর, সংক্রামক জ্বরের দিকে ইঙ্গিত করে।
যে ব্যক্তির স্বাস্থ্যরেখা বুধ পর্বতের নীচে থেকে শুরু হয়ে চন্দ্র পর্বতে গিয়ে শেষ হয় এবং শেষ অংশ শিকলের মতো, লাল দাগ যুক্ত হয়, সেই ব্যক্তির সর্দি-কাশি, কফ, সংক্রামক রোগ, জ্বর, ফুসফুস এবং শ্বাসজনিত রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জল এবং শীত সংক্রান্ত রোগের সঙ্গে চাঁদের সম্পর্ক রয়েছে। তাই চন্দ্র পর্বতে স্বাস্থ্যরেখা শেষ হলে, তা সংক্রামক রোগ যেমন হাঁপানি, টিবি, গলার কোনও রোগের ইঙ্গিত দেয়।