দেবকী ও যশোদা নন্দন এবং রাধারানীর পরম মিত্র কৃষ্ণকে বিষ্ণুর অষ্টম অবতার মনে করা হয়। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে কৃষ্ণের জন্মোৎসব পালিত হয়। চলচি বছর ৩০ অগস্ট সোমবার জন্মাষ্টমী। শ্রদ্ধা-ভক্তিভরে কৃষ্ণের পুজো করলে দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। এ বছর জন্মাষ্টমীর দিনে নিজের রাশি মেনে কৃষ্ণকে বস্ত্র ও ভোগ অর্পণ করলে তাঁর আশীর্বাদ লাভ করতে পারেন। এর ফলে পরিবারের সমস্ত দুঃখ কষ্ট দূর হয় এবং আনন্দের আগমন ঘটে। রাশি অনুযায়ী কোন রঙের বস্ত্র ও ভোগ অর্পণ করবেন জেনে নিন--
মেষ- নাড়ু গোপালকে লাল বস্ত্র পরিয়ে কুমকুমের তিলক লাগান এবং মাখন মিশ্রীর ভোগ অর্পণ করুন।
বৃষ- রুপোর পরতে কৃষ্ণের শৃঙ্গার করুন এবং সাদা বস্ত্র ও সাদা চন্দন অর্পণ করুন। মাখনের ভোগ লাগাবেন।
কর্কট- সাদা বস্ত্র পরিয়ে দুধ ও জাফরানের ভোগ অর্পণ করুন।
সিংহ- এই রাশির জাতকরা কৃষ্ণকে গোলাপী বস্ত্র পরান এবং অষ্টগন্ধের তিলক লাগান। মাখন মিশ্রীর ভোগ নিবেদন করুন।
কন্যা- নাড়ু গোপালকে সবুজ রঙের সুন্দর বস্ত্র পরিয়ে খোয়ার বরফির ভোগ দিন।
তুলা- জাফরানি বা গোলাপী রঙের বস্ত্র পরান এবং মাখন-মিশ্রী ও ঘিয়ের ভোগ নিবেদন করুন।
বৃশ্চিক- নাড়ু গোপালকে লাল বস্ত্র পরিয়ে খোয়া, মাখন বা দইয়ের ভোগ অবশ্যই নিবেদন করবেন।
ধনু- হলুদ বস্ত্র ও হলুদ ভোগ অর্পণ করলে সুফল লাভ করবেন।
কুম্ভ- এই রাশির জাতকরা দুধ দিয়ে অভিষেক করে কৃষ্ণকে নীল বস্ত্র পরান এবং বালুশাহীর ভোগ অর্পণ করুন।
মীন- পীতাম্বরী ও অলঙ্কার পরান। জাফরান ও খোয়ার বরফির ভোগ নিবেদন করুন।