৭২তম গণতন্ত্র দিবসে দাঁড়িয়ে ভারতের এ বছরের কোষ্ঠি বিচার করলে দেখা যাচ্ছে, এ বছর ভারতের আর্থিক স্বনির্ভরতা আরও মজবুত হবে। অন্যদিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেশ নতুন উদাহরণ স্থাপন করবে। ভারত ও ভারতের নাগরিকদের জন্য এ বছর কেমন কাটবে, ভারতের কোষ্ঠি বিচার করে তা জানাচ্ছেন জ্যোতিষীরা।
ভারতের ৭২তম গণতন্ত্র দিবসের বর্ষ কোষ্ঠি মিথুন লগ্নের। লগ্নে চন্দ্র, ষষ্ঠ স্থানে কেতু, সপ্তম স্থানে শুক্র, অষ্টমে সূর্য, বৃহস্পতি ও শনি এবং নবম স্থানে মুন্থা ও বুধের অবস্থান দেখা যাচ্ছে। একাদশ স্থানে মঙ্গল ও দ্বাদশে রাহু অবস্থান করছে।
স্বনির্ভর ভারতের পথে যাত্রা:
বছরের অধিপতি মুন্থা, ভাগ্য স্থানে অধিষ্ঠান করছে। লগ্নের অধিপতি বুধের সঙ্গে বিরাজ করছে মুন্থা। এর ফলে সরকার দ্বারা জনগণের জন্য কল্যাণকারী প্রকল্প ঘোষিত হবে। যুবক সম্প্রদায় শিক্ষা-প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে অভাবনীয় অগ্রসর করবে ও বিদেশি কোম্পানিতে চাকরির সম্ভাবনা বাড়বে। বুধের কারণে জনগণের স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান হবে। করোনা অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত সাফল্য লাভ করবে। আর্থিক স্থানের অধিপতি চন্দ্র স্বয়ং লগ্নে নিজের পুত্র বুধের সঙ্গে গোচর করছে। তাই ভারত ও ভারতীয় নাগরিকদের আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।
কালসর্প যোগের ছায়া:
বর্তমানে প্রজাতন্ত্র দিবসের বর্ষ কোষ্ঠিতে আংশিক ভাবে শেষনাগ কালসর্প যোগের ছায়ার প্রভাব থাকবে। কারণ রাহু কোষ্ঠির দ্বাদশ স্থানে বিরাজ করছে। এটি লোকসান ও ব্যয়ের স্থান। অন্য দিকে ষষ্ঠ অর্থাৎ, ঋণ, রোগ, শত্রুর স্থানে অবস্থান করছে কেতু। কেতুর অশুভ প্রভাবের ফলস্বরূপ দেশে লুকিয়ে থাকা গোপন শত্রুর সঙ্গে জনগণকে লড়াই চালাতে হবে। এদের অক্ষ থেকে চন্দ্রের বাইরে থাকার কারণে কালসর্প যোগ ভঙ্গ হবে, তবে চন্দ্রের প্রভাব ক্ষীণ থাকায় জনগণকে মানসিক জটিলতার শিকার হতে হবে। পারস্পরিক অবসাদও বাড়বে।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন ও যুব সম্প্রদায়ের জন্য সুবর্ণ সুযোগ:
পঞ্চম সন্তান স্থানের অধিপতি শুক্র, সপ্তম কেন্দ্র স্থানে বিরাজ করার ফলে, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে অথবা নতুন কোনও আইন প্রণয়নও হতে পারে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পাশাপাশি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও নতুন নতুন গবেষণার ফলে যুব সম্প্রদায় সকলকে চকিত করবে। শিক্ষা-প্রতিযোগিতার জন্য বছর খুব ভালো। সূর্য, বৃহস্পতি ও শনির অষ্টম স্থানে অবস্থিতি ও বর্তমানে শনি ও বৃহস্পতি অস্ত থাকার ফলে কার্য-ব্যবসায় শিথিলতা থাকতে পারে। যার ফলে খাদ্যান্ন, পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস, ওষুধের মতো অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি হতে পারে।
জনগণের জন্য সুখবরঃ
বর্ষ কোষ্ঠিতে মঙ্গল, লাভ স্থানে, নিজের কক্ষে অবস্থান করছে। ১৩ এপ্রিল থেকে রাক্ষস নামক সম্বৎসরের রাজা ও মন্ত্রী দু জনের অধিকারই মঙ্গলের হাতে। যার ফলে ভারতের অপ্রত্যাশিত আর্থিক উন্নতি হবে ও মুদ্রা ব্যবস্থা মজবুত হবে। সরকার দ্বারা ঘোষিত নতুন নতুন প্রকল্প কার্যকরী হবে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত তার আধিপত্য বিস্তার করবে।
তবে এই স্থানে মঙ্গলের একটি অশুভ প্রভাবও দৃশ্যমান। এ সময় সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সংঘর্ষ চরমে থাকবে। পারস্পরিক অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের কারণে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। জনকল্যাণকারী প্রকল্পে বাধা সৃষ্টি করতেও বিরোধীরা পিছ পা হবেন না। এর ফলে জনগণ বনাম বিরোধী দলের বিবাদও দেখা দিতে পারে। ১৩ এপ্রিলের পর একাধিক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে ভারতকে। তবে যে কোনও পরিস্থিতিতে শেষ হাসি হাসবে জনগণই।