জগদ্ধাত্রী পুজো ২০২৪ ঘিরে চন্দননগর থেকে কৃষ্ণনগরে শুরু হয়ে গিয়েছে হইচই। দুই নগরীতেই দেবীর আরাধনা শুরু হয়েছে। সবে কেটেছে চতুর্থীর রাত। এরপর সকলের চোখ রয়েছে নবমী তিথির দিকে। মূলত, দেবী জগদ্ধাত্রীকে নবমী তিথিতেই বিশেষ আরাধনা করা হয়। দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে যেমন সকলের নজর থাকে অষ্টমী তিথির দিকে, তেমনই জগদ্ধাত্রী তিথি ঘিরে সকলের নজর থাকে নবমীর দিকে। চলতি বছরে জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী তিথি পড়েছে রবিবার। দেখে নেওয়া যাক, এবছরে জগদ্ধাত্রী পুজোর নির্ঘণ্ট।
জগদ্ধাত্রী পুজোর নির্ঘণ্ট:-
আগামিকাল ৭ নভেম্বর ২০২৪ পড়েছে জগদ্ধাত্রী পুজোর ষষ্ঠী তিথি। আগামিকাল লক্ষ্মীবার বৃহস্পতিবারে রয়েছে এই তিথি। সপ্তমী তিথি পড়েছে ৮ নভেম্বর। শুক্রবার এই তিথি রয়েছে। অষ্টমী তিথি পড়েছে ৯ নভেম্বর, শনিবার। ১০ নভেম্বর পড়েছে নবমী তিথি। দেখে নেওয়া যাক জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী তিথি কখন থেকে শুরু হচ্ছে।
( Kartik Purnima 2024 date: কার্তিক পূর্ণিমা ২০২৪ কবে? তিথি কখন থেকে পড়ছ! রইল ব্রহ্ম মুহূর্তের সময়)
জগদ্ধাত্রী পুজো ২০২৪ নবমী তিথি:-
জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী তিথি ৯ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকেই পড়ে যাচ্ছে। ৯ নভেম্বর শনিবার, সন্ধ্যা ৬ টা ২০ মিনিট ৪০ মিনিট থেকে এই তিথি শুরু হচ্ছে। ১০ নভেম্বর বিকেল ৪ টে ৩৩ মিনিট ২৬ সেকেন্ড পর্যন্ত এই তিথি থাকবে।
দেবী জগদ্ধাত্রীর রূপ:-
দেবী জগদ্ধাত্রী চতুর্ভূজা। তাঁর হাতে থাকে শঙ্খ, চক্র, ধনুক, বাণ। তাঁর বাহন সিংহ। তিনি করীন্দ্রাসুর অর্থাৎ হস্তিরূপী অসুরকে দমন করেন। তাই সিংহের নিচে থাকে হাতির রূপ। শাস্ত্র মতে, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে দেবীর পুজো হয়। অগ্নি, পবন, বরুণ, চন্দ্র এই চার দেবতার দর্প চূর্ণ করতেই দেবীর আবির্ভাব বলে কথিত রয়েছে।
কৃষ্ণনগরের রাজা স্বপ্নাদেশ পান… পুজো ঘিরে কোন কাহিনি প্রচলিত?
জগদ্ধাত্রী পুজোর শুরু চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর নাকি কৃষ্ণনগরে প্রথম, তা নিয়ে বহু বিতর্ক রয়েছে। আজ দেখা যাক, কৃষ্ণনগরে এই পুজোর শুরু নিয়ে কোন কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। কথিত রয়েছে, এককালে নদিয়ার চাষা পাড়ার পুজোর দায়ভার নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তখনই দেবী তাঁকে স্বপ্নাদেশ দেন। অনেকের মতে, এই স্বপ্নাদেশের কাহিনি সঠিক নয়। রাজার বাড়ির পুজো তিনি অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। আরেকটি সূত্র বলছে, একবার মীরকাশিমের আদেশে কারাগারে বন্দি হন সপুত্র কৃষ্ণচন্দ্র। এরপর তিনি মুক্তি পান। নৌকায় কৃষ্ণনগর ফেরার সময় তিনি দেখেন, দুর্গাপুজোর প্রতিমা ভাসান হচ্ছে। দিনটি ছিল বিজয়া দশমী। তাঁর মনে দুঃখ হয়। বন্দি থাকার ফলে তাঁর দুর্গাপুজো করা হয়নি সেবছর। কথিত রয়েছে, সেই রাতেই রাজা পান জগদ্ধাত্রীর স্বপ্নাদেশ। তারপর থেকেই কৃষ্ণনগরে রাজবাড়িতে পুজো শুরু হয়।