শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিনটিতে মহা সমারোহে শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসব পালিত হয়। তাঁর জন্মতিথি উদযাপনের পাশাপাশি, তাঁকে ৫৬ ভোগ নিবেদনের রীতিও রয়েছে অনেক জায়গায়। প্রতি বছর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পালিত হয়। এই বছর জন্মাষ্টমী পড়েছে ২৬ অগস্ট, সোমবার। রাশিচক্র অনুযায়ী কোন বিশেষ ভোগ জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণকে উৎসর্গ করলে, তিনি সন্তুষ্ট হবেন এবং মনোবাঞ্ছা পূরণ হবে তা জেনে নিন।
মেষ (মার্চ ২১ - এপ্রিল ২০)
শ্রীকৃষ্ণের পুজোর পর, গরুকে মিষ্টি খাওয়াতে পারেন।
বৃষ (এপ্রিল ২১ - মে ২০)
এই রাশির জাতক জাতিকারা শ্রীকৃষ্ণকে দুধ, দই ও রসগোল্লা নিবেদন করতে পারেন।
মিথুন (মে ২১ - জুন ২১)
গরুকে পালং শাক কিংবা ঘাস খাওয়াতে পারেন। আর শ্রীকৃষ্ণকে নকুলদানা নিবেদন করতে পারেন।
আরও পড়ুন: আসছে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী, এই দিন পুজোর সময় অবশ্যই খেয়াল রাখুন এই বিশেষ বিষয়গুলোর
কর্কট (জুন ২২ - জুলাই ২২)
জন্মাষ্টমীতে ননীগোপালকে মাখন ও মিছরি নিবেদন করতে পারেন।
সিংহ (জুলাই ২৩ - অগস্ট ২৩)
জন্মাষ্টমীর শুভ লগ্নে সিংহ রাশির জাতক জাতিকারা পাঁচ রকমের ফল উৎসর্গ করতে পারেন শ্রীকৃষ্ণকে। আর এই ফলের মধ্যে বেলও রাখতে পারেন।
কন্যা (অগস্ট ২৪ - সেপ্টেম্বর ২৩)
কন্যা রাশির জাতক জাতিকারা জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণকে কেশর দুধ নিবেদন করতে পারেন।
তুলা (সেপ্টেম্বর ২৩ - অক্টোবর ২৩)
শ্রীকৃষ্ণকে কালাকান্দ সন্দেশ ও ফল উৎসর্গ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে বাড়িতে বাঁশি কিনে এনে করুন এই কাজ, গোপালের কৃপায় দূর হবে বাস্তু দোষ
বৃশ্চিক (অক্টোবর ২৪ - নভেম্বর ২২)
জন্মাষ্টমীর শুভ লগ্নে নকুলদানা, মাওয়া ও বাসন্তী পোলাও ভোগ হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকে উৎসর্গ করতে পারেন।
ধনু (নভেম্বর ২৩ - ডিসেম্বর ২১)
জন্মাষ্টমীর দিন বাসুদেবকে কেশর মিশিয়ে আমন্ডের পুডিং নিবেদন করতে পারেন।
মকর (ডিসেম্বর ২২ - জানুয়ারি ২১)
জন্মাষ্টমীতে ধনে ও পোস্ত দিয়ে শ্রীকৃষ্ণের পুজো করতে পারেন।
কুন্ত (জানুয়ারি ২১ - ফেব্রুয়ারি ১৯)
শ্রীকৃষ্ণের সামনে সুগন্ধি ধূপ জ্বালিয়ে তাঁর উদ্দেশে মিষ্টি উৎসর্গ করতে পারেন।
মীন (ফেব্রুয়ারি ২০ - মার্চ ২০)
মীন রাশির জাতক জাতিকারা এদিন শ্রীকৃষ্ণকে কলা, জিলিপি নিবেদন করলে যে কোনও সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।