হিন্দু ধর্মে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনটিতে মহা সমারোহে শ্রী কৃষ্ণের জন্মোৎসব পালিত হয়। তাঁর জন্মতিথি উদযাপনের পাশাপাশি, তাঁকে ৫৬ ভোগ নিবেদনের রীতিও রয়েছে অনেক জায়গায়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পালিত হয়। এই বছর জন্মাষ্টমী পড়েছে ২৬ অগস্ট, সোমবার।
শাস্ত্রমতে, এই দিনে শ্রী কৃষ্ণের পূজা করলে সকল প্রকার দুঃখ-কষ্ট নাশ হয় এবং সুখ, সমৃদ্ধি, ধন-সম্পদ ও গৌরব বৃদ্ধি পায়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিন ঘরে এই সব জিনিস নিয়ে এলে শ্রীকৃষ্ণের পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণু এবং মা লক্ষ্মীও সন্তুষ্ট হন। বাড়িতে অর্থের অভাব হয় না, সুখে পরিপূর্ণ থাকে সংসার। আসুন জেনে নেওয়া যাক জন্মাষ্টমীর দিন কী কী জিনিস বাড়িতে আনলে ভালো ফল পাবেন।
আরও পড়ুন: এবার বিরল যোগে জন্মাষ্টমী, রাশি অনুযায়ী করুন এই প্রতিকার, পূরণ হবে সকল ইচ্ছা
লাড্ডু গোপাল মূর্তি
যদি আপনার বাড়িতে লাড্ডু গোপালের মূর্তি না থাকে, তাহলে জন্মাষ্টমীর দিনে লাড্ডু গোপালের মূর্তি বাড়িতে আনতে পারেন। এই মূর্তি আনার জন্য এর থেকে শুভ দিন আর হয় না। এদিন লাড্ডু গোপালের মূর্তি এনে মধ্যরাতে স্নান করুন, তারপর তাঁকে ভোগ নিবেদন করুন এবং দোলনায় বসিয়ে দোল দিন। জীবন সুখ সমৃদ্ধি ভরে উঠবে।
বাঁশি
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাঁশি খুব প্রিয়। তা সর্বদা শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে থাকেন। তাই জন্মাষ্টমীর দিন বাড়িতে নিয়ে আসতে পারেন বাঁশি। এটি ঘরে রাখলে বাস্তু দোষ দূর হয়। এর পাশাপাশি, মন্দিরে বা দেওয়ালে বাঁশি ঝুলিয়ে রাখলে ব্যবসা ও কর্মজীবনে প্রচুর সাফল্য আসবে। আর্থিক দিক থেকেও লাভবান হবেন। পাশাপাশি জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসবে। সদি শোবার ঘরে বাঁশি রাখেন তাহলেও দাম্পত্য জীবনে সুখ বজায় থাকবে।
আরও পড়ুন: এবার বিনামূল্যে পাওয়া যাবে পুরীর মন্দিরে জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদ?
ময়ূর পালক
শ্রীকৃষ্ণের মুকুটে ময়ূরের পালক থাকে। এটি রাধার প্রেমের প্রতীক হিসাবে মানা হয়। জন্মাষ্টমীর দিন এটি বাড়িতে আনলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসবে। কখনও অর্থের অভাব হবে না। সংসার সুখ পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে।
গরু এবং বাছুরের মূর্তি
জন্মাষ্টমীর দিন গরু-বাছুরের মূর্তি বাড়িতে আনতে পারেন। গরুকে কামধেনুর প্রতীক হিসাবে মানা হয়। শাস্ত্রমতে, কামধেনু সমুদ্র মন্থনের সময় সমুদ্র থেকে উঠে এসেছিল। এটি ১৪ রত্নের মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়। এটি বাড়িতে রাখলে বাড়ির খুদে সদস্যদের থেকে ভালো খবর আসে। মানসিক ও শারীরিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাড়িতে সুখ, সমৃদ্ধি, ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পায়, সৌভাগ্য লাভ হয়।
মাখন-মিছরি
ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে 'মাখন চোর' নামেও ডাকা হয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মাখন এবং মিছরি খুব পছন্দ করেন। জন্মাষ্টমীর শুভ তিথিতে শ্রীকৃষ্ণকে মাখন-মিছরি অর্পণ করলে জীবনে সুখ আসে।