নবগ্রহের মধ্যে প্রতিটি গ্রহই নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর রাশি পরিবর্তন করে থাকে। এদের মধ্যে অন্যতম গ্রহ হল বৃহস্পতি। সমস্ত গ্রহের মধ্যে বৃহস্পতির রাশি পরিবর্তন বিশেষ গুরুত্ব ও প্রভাব বিস্তার করে। কোনও একটি রাশিতে ১ বছর ধরে বিরণ করেন দেবগুরু বৃহস্পতি, তার পর রাশি পরিবর্তন করেন। ধনু ও মীন রাশির অধিপতি বৃহস্পতি কর্কটে উচ্চস্থ ও মকরে নীচস্থ। স্ত্রী জাতকের কোষ্ঠিতে বৃহস্পতির পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে থাকে।
স্ত্রী জাতকদের জন্য স্বামীর নৈসর্গিক কারক বৃহস্পতি। স্বামী সুখ লাভে বৃহস্পতির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কোনও স্ত্রী জাতকের কোষ্ঠিতে বৃহস্পতি অস্ত, বক্রি, দুর্বল বা অশুভ স্থানে উপস্থিত থাকলে তাঁদের জীবনে স্বামী সুখ লাভের পথে বাধা দেখা দেয়। আবার বুদ্ধি ও বিবেকের প্রতিনিধিত্ব করেন বৃহস্পতি। কোষ্ঠিতে শক্তিশালী বৃহস্পতি বুদ্ধিমত্তা ও বিদ্বত্তার দিকে ইঙ্গিত দিয়ে থাকে।
২০ নভেম্বর রাত ১১টা ১৫ মিনিটে কুম্ভ রাশিতে প্রবেশ করবে বৃহস্পতি। গত এক বছর ধরে মকর রাশিতে উপস্থিত ছিল এই গ্রহ। স্ত্রী জাতকদের জন্য বৃহস্পতির গোচর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হতে চলেছে। মহিলা জাতকদের বিবাহে ত্রিবল শুদ্ধির কারণে বৃহস্পতির রাশি পরিবর্তন বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে।
শাস্ত্র মতে ত্রিবল শুদ্ধিতে বৃহস্পতি অপুজ্য অবস্থায় থাকলে স্ত্রী জাতকদের বিবাহ বর্জিত মনে করা হয়। আবার পুজ্য স্থানে থাকলে বৃহস্পতির শান্তির পর স্ত্রী জাতকরা বিবাহ করতে পারেন। চলতি ভাষায় একে হলুদ পুজো বলা হয়। কেউ কেউ আবার কোষ্ঠি বিচার করে অপুজ্য স্থানে বৃহস্পতি থাকা সত্ত্বেও হলুদ পুজো বা বৃহস্পতির শান্তি অনুষ্ঠান করে বিবাহ করার পরামর্শ দেন।
২০ নভেম্বর রাশি পরিবর্তন করে কয়েকটি রাশির জাতিকাদের বিবাহে বাধা উৎপন্ন করবেন বৃহস্পতি। সে ক্ষেত্রে আগামী ১ বছর তাঁদের বিবাহ বর্জিত থাকবে। উল্লেখ্য, যে সমস্ত স্ত্রী জাতকদের রাশিতে বৃহস্পতি অপুজ্য স্থান অর্থাৎ চতুর্থ, অষ্টম, দ্বাদশ কক্ষে গোচর করবে, তাঁদের বিবাহ এক বছরের জন্য বর্জিত থাকবে। আবার যে জাতিকাদের রাশির প্রথম, তৃতীয়, ষষ্ঠ ও দশম কক্ষের মতো পুজ্য স্থানে বৃহস্পতি গোচর করবে, তাঁরা বৃহস্পতি শান্তি অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে বিয়ে করতে পারেন। শেষ রাশির জাতিকাদের জন্য বৃহস্পতি শুভ থাকবেন।
২০ নভেম্বরের বৃহস্পতির রাশি পরিবর্তন কোন জাতিকাদের বিবাহে বাঁধা উৎপন্ন করবে জেনে নিন—
১. অপুজ্য- কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন। অর্থাৎ আগামী ১ বছরের জন্য এই রাশির জাতিকাদের বিবাহ বর্জিত থাকবে।
২. পুজ্য- বৃষ, কন্যা, ধনু ও কুম্ভ। অর্থাৎ গুরু শান্তি পুজোর পর বিয়ের পীড়িতে বসতে পারেন এই সমস্ত রাশির জাতিকারা।
উপরিউক্ত সমস্ত রাশি ছাড়া, বাকি রাশির মেয়েদের বিবাহ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হতে পারে, কারণ তাঁদের জন্য বৃহস্পতির গোচর শুভ।