জ্যোতিষ শাস্ত্রে কালসর্প দশার উল্লেখ পাওয়া যায়। এই দশা যার জন্ম ছকে থাকে তার জীবনে দুর্ভাগ্য অনিবার্য, এবারে আমরা কালসর্প দোষের কিছু তথ্যাবলি জেনে নেব।
সংস্কৃতে কাল শব্দের অর্থ হলো মৃত্যু বা শেষ এবং সর্পের অর্থ হল সাপ। জন্ম ছকে যদি রাহু এবং কেতুর মাঝে সব গ্রহ অবস্থান করে তখন যে দশা সৃষ্টি হয় তখন তাকে কালসর্প যোগ বা কালসর্প দশা হিসেবে অভিহিত করা হয় । সর্বোমোট সাত রকম কালসর্প যোগ আছে এবং এক একটি সাপের নামে নামকরণ হয়েছে দশা গুলির।
অনন্ত কালসর্প যোগ :- জন্ম ছকে এই যোগ থাকলে জাতকের জীবনে ষড়যন্ত্র বড় ভূমিকা নেবে। নিজের লোকের কাছে সে নানান বিরম্বনায় জড়িয়ে পড়বে, এছাড়া তার জীবনে আইনি ঝামেলা এবং মামলা-মোকদ্দমা দেখা দেবে।
কুলিক কালসর্প যোগ :- জাতকের জীবনে নেমে আসে আর্থিক সংকট অর্থ এলেও তা ব্যয় হয়ে যায়। সু-দৃঢ় হয় না অর্থ উপার্জনের পথ।
বাসুকি কালসর্প যোগ :- ভাই-বোন এবং বন্ধুদের মাধ্যমে জাতক-জাতিকার জীবনে নেমে আসে ঝামেলা।
শঙ্খ পাল কালসর্প যোগ :- স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে সুখী হবেন না জাতক। সম্পত্তি পিছনে অর্থ ব্যয় হবে কিন্তু তা কার্যকর হবে না।
পদ্ম কালসর্প যোগ :- সন্তান লাভে সংকট দেখা দেয়।, এই যোগ থাকলে জাতককে শেয়ার মার্কেট লটারি ইত্যাদি ফাটকা উপায়ে অর্থ উপার্জন থেকে দূরে থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
মহাপদ্ম কালসর্প যোগ:- কোন সম্পর্ক থেকে জাতক সুখ লাভ করতে পারে না। এমনকি প্রতিনিয়ত সে তার জীবনসঙ্গীকে ও অবিশ্বাসের চোখে দেখে।
তক্ষক কালসর্প যোগ :- ব্যবসা করতে গেলে জাতকের কাছে সাফল্য আসে না । ব্যবসা এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কে বিভিন্ন রকম বাধায় জর্জরিত হয়ে যায় জাতক বা জাতিকা।
তবে বৈদিক জ্যোতিষে এইসকল কালসর্প দোষের কিছু মুক্তির বিধানও উল্লেখ আছে। জন্ম ছকে কালসর্প যোগ থাকলে জাতক বা জাতিকা কে নাগপঞ্চমী ব্রত পালন করা উচিত। সন্তুষ্ট রাখতে হবে সর্বদা নাগ দেবতা কে। বাড়িতে সর্বদা কালসর্প যন্ত্রম রাখা উচিত। এই কালসর্প যন্ত্রম এর সু-শক্তির মাধ্যমে জাতক বা জাতিকা কালসর্প দোষের প্রতিকার হয়ে থাকে।
বিশেষজ্ঞ: মনোজিৎ দে সরকার