আজ ভূত চতুর্দশী। আজকের দিনেই প্রতিটি বাড়িতে ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়। ১৪ পুরুষের উদ্দেশে সেই প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে। সেইসঙ্গে ১৪ শাক খাওয়াও হয়।
ভূত চতুর্দশী কী?
দীপান্বিতা কালীপুজোর আগেরদিন তথা কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে ভূত চতুর্দশী পালন করা হয়। যে 'ভূত'-এর অর্থ হল অতীত। ভূত চতুর্দশীতে ১৪ পুরুষের উদ্দেশে প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে। সাধারণত ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানোর নিয়ম আছে। তবে এখন বিভিন্ন রকমের প্রদীপ জ্বালানো হয়। পুরাণ অনুযায়ী, ভূত চতুর্দশী থেকেই ধীরে ধীরে জাগ্রত হতে শুরু করেন কালী। সেদিন থেকেই অশুভ শক্তির বিনাশের সূচনা হয়। ভূত চতুর্দশীতে বাড়ির কোথাও আলো নেভানো যায় না। পুরো বাড়িতে আলো থাকতে হয়।
১৪ শাক:
প্রতি বছর ভূত চতুর্দশীতে বাঙালি পরিবারে ১৪ শাক খাওয়া যায়। সেই শাকগুলি হল - ওল, সরষে, নিম, বেতো, গুলঞ্চ, শুশনি, হিলঞ্চ, জয়ন্তী, শাঞ্চে, কেঁউ, কালকাসুন্দে, পলতা, ভাটপাতা এবং শৌলফ। তবে বর্তমানে একেবারে ওই ১৪ শাকই যে খাওয়া হয়, তা হয়। তা কিছুটা হেরফের হয়।
কথিত আছে, এক ব্রাহ্মণ ও তাঁর স্ত্রী বাড়ি নোংরা করে রাখতেন। পরিষ্কারের কোনও বালাই ছিল না। স্বভাবতই ক্রমশ নোংরা হতে থাকে বাড়ি। সেই সুযোগে বাড়িতে ভূতের আগমন হতে থাকে। একদিন সেই ভূতেদের শোরগোল নজরে পড়ে ওই ব্রাহ্মণের। তারপরই নড়ে টনক। বাড়ি-ঘর পরিষ্কার শুরু করেন। ১৪ ধরনের গাছের পাতা দিয়ে পুরো বাড়িতে গঙ্গার জল ছেটানো হয়। সেখান থেকেই ১৪ শাক খাওয়ার নিয়ম শুরু হয়েছে।