দেব সেনাপতি কার্তিকের পুজো ঘিরে সাজো সাজো রব বাংলার নানান প্রান্তে। কার্তিক মাসের শেষ দিনে দেব সেনাপতি তথা দেবী পার্বতী ও দেবাদিদেব মহাদেবের পুত্র কার্তিককে পুজো করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। জ্যোতিষমতে মঙ্গলগ্রহের অবস্থান ভালোর দিকে রাখার জন্য অনেকেই কার্তিক পুজো করে থাকেন। প্রসঙ্গত, সূর্য যখন রাশি পরিবর্তন করে তুলা থেকে বৃশ্চিক রাশিতে যায়, তখনই কার্তিক মাসের শেষ দিনে কার্তিক পুজো করা হয়। দেখা যাক, কার্তিক পুজোর সময় ক্ষণ।
কার্তিক পুজো কখন?
কার্তিক পুজো পড়ছে শনিবার। বাংলার ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ৩০ কার্তিক পড়েছে শনিবার। ১৬ নভেম্বর ২০২৪-এ কার্তিক পুজোর শুভ সময়। এই মত বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী। এদিকে, গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতেও ওই দিনেই পড়েছে পুজো।
কার্তিক ঠাকুরের প্রিয় ফুল:-
কার্তিক পুজোর সময় দেবতাকে রঙীন ফুল দিতে পারেন। লাল গোলাপ, পদ্ম, নীল, অপরাজিতা, হলুদ চাঁপা, গাঁদা ফুল তাঁর খুব পছন্দের। তবে ঠাকুরের পছন্দের ফুল রক্ত করবী। তা না পাওয়া গেলেও দিতে পারেন হলুদ বা সাদা করবী। পুজোর দিনে কার্তিক ঠাকুরকে দিতে পারেন ৫ গোটা ফল। এছাড়াও বাচ্চারা যে খেলনা নিয়ে খেলতে ভালোবাসে, সেই খেলনা দিতে পারেন। এছাড়াও দেবতাকে পায়েস ভোগ দিন।
কার্তিক পুজোর দিন তুলসী পুজো:-
কার্তিক পুজোর দিনে তুলসী পুজো করতে পারেন সকালে। এমনই মত শাস্ত্রজ্ঞদের। সন্ধ্যায় বাড়ির তুলসী মঞ্চে দিতে পারেন ঘিয়ের প্রদীপ। সন্তানের পড়াশোনার মঙ্গলের জন্য, কার্তিক ঠাকুরের পাশে রাখা ময়ূরের পালক রেখে দিন সন্তানের পড়াশোনার স্থানে। পুজোর সময় অবশ্যই একটা বাঁশি, তীর-ধনুক এবং ময়ূরের পালক ঠাকুরের কাছে রাখবেন। সেখান থেকেই ময়ূরের পালক নিয়ে কাছে রাখবেন।
ময়ূর পুচ্ছ নিয়ে কিছু টোটকা:-
অনেকেই কার্তিক পূর্ণিমায় ঘরে আনেন ময়ূরের পালক। বলা হয় , বাড়িতে ময়ূরের পালক রাখলে তা বিভিন্ন ঝুট ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়। কোনও ঝগড়া ঝাঁটি, নিত্য কলহ বিবাদ যদি বাড়িতে লেগে থাকে, তাহলে তা থেকেও মুক্তি দেয় ময়ূরের পালক। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে এই বিশেষ ময়ূরের পালক বাড়ির একটি বিশেষ দিকে রাখলে পাওয়া যায় কাঙ্খিত শান্তি, অর্থ