কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমাকে বলা হয় কার্তিক পূর্ণিমা, যা এ বছরের ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার। কার্তিক পূর্ণিমা দেব দীপাবলি নামেও পরিচিত। শাস্ত্র মতে এই দিনে ভগবান বিষ্ণু মৎস্য অবতার গ্রহন করেন। এমনও বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে ভগবান শিব ত্রিপুরাসুর রাক্ষসকে বধ করেছিলেন। এই খুশিতে দেবতারা দিওয়ালি উদযাপন করেন। এই দিনে শ্রদ্ধার সাথে পূজা করলে ভগবান শ্রী হরির সাথে সাথে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদও পাওয়া যায়। কার্তিক পূর্ণিমার দিনে কিছু প্রতিকার করলে মনস্কামনা পূরণ হয়।
এই বছর কার্তিক পূর্ণিমার উপবাস ৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখে রাখা হবে। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে পবিত্র নদীতে স্নান এবং দান করলে পুরো মাসব্যাপী পূজার সমান ফল পাওয়া যায়।
কার্তিক পূর্ণিমার দিনে করুন এই প্রতিকারগুলো
কার্তিক পূর্ণিমার দিনে গঙ্গা-যমুনায় কুশস্নান করলে সৌভাগ্য হয়। হাতে কুশ নিয়ে পবিত্র নদীতে স্নান করে দান করুন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে রোগ নিরাময় হয়।
তোরণ
কার্তিক পূর্ণিমার দিনে দেবী লক্ষ্মীর প্রবেশের জন্য বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারে হলুদ মিশ্রিত জল দিয়ে একটি স্বস্তিক তৈরি করুন। এর সাথে আম পাতার তোরণ রাখুন। এতে করে মাতা লক্ষ্মী ঘরে প্রবেশ করেন।
তুলসী পূজা
কার্তিক পূর্ণিমায় ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ পূজা করা হয়। একই সময়ে, তুলসীকে ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে তুলসী মাতা বলা হয় এবং ভগবান বিষ্ণুরও প্রিয়তম তুলসী । মা লক্ষ্মী হলেন ভগবান বিষ্ণুর স্ত্রী, যার কারণে তুলসী পূজা করলে ভগবান বিষ্ণুর সাথে দেবী লক্ষ্মীও প্রসন্ন হন।
প্রদীপ নিবেদন
কার্তিক পূর্ণিমার দিনে গঙ্গার ঘাটে বা যেকোনো পবিত্র নদীর ঘাটে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রদীপ দান করে দেবতাদের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে ঘরে আসে সুখ-সমৃদ্ধি।
কার্তিক পূর্ণিমার দিনে তুলসীর কাছে প্রদীপ জ্বালিয়ে তার মূলের মাটির তিলক লাগালে প্রতিটি কাজে সাফল্য পাওয়া যায়।
কার্তিক পূর্ণিমায় ভগবান শিবেরও পূজা করা হয়। এই দিনটি ত্রিপুরারী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। এই দিন শিবলিঙ্গে দুধ, দই, ঘি, মধু ও গঙ্গাজলের পঞ্চামৃত নিবেদন করে ভোলেনাথ প্রসন্ন হন।