এ বছর করবা চৌথে চারটি রাজযোগ-সহ প্রায় ১২টি শুভ যোগের সৃষ্টি হচ্ছে। ৪ নভেম্বর করবা চৌথের দিনে শিব, অমৃত ও সর্বার্থসিদ্ধি, বুধাদিত্য, সপ্তকীর্তি, সৌখ্য যোগের সৃষ্টি হচ্ছে। আবার শঙ্খ, গজকেসরি, হংস ও দীর্ঘায়ু নামক রাজযোগও তৈরি হচ্ছে এ দিন।
করবা চৌথের দিন যখন চাঁদ ও স্বামীর পুজো করা হবে, তখন গোচর কোষ্ঠিতে বৃহস্পতি দাম্পত্য জীবনের ঘরে স্বরাশিতে উপস্থিত থাকবে। এর ফলে সৌভাগ্য বৃদ্ধি হবে। যার ফলে এই পর্ব আরও শুভ হয়ে যাবে।
অন্যদিকে করবা চৌথের দিনে বুধবার ও চতুর্থীর সংযোগে গণেশ পুজোর ফল বৃদ্ধি পাবে। এ বছর মৃগশিরা নক্ষত্রে করবা চৌথ ব্রত পালিত হবে। এ দিন সূর্যদয় ও চন্দ্রোদয়— দুইই চতুর্থী তিথিতে হবে।
জ্যোতিষাচার্যদের মতে, করবা চৌথের তিথি, বার, নক্ষত্র ও গ্রহের মহাসংযোগ সৃষ্টির ফলে ব্রত ও পুজোর পূর্ণ সুফল লাভ হবে। এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা ও পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বাড়বে। শুভ সংযোগে পুজো হওয়ার ফলে মহিলারা রোগ ও শোক থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এর ফলে মনস্কামনাও পূর্ণ হবে।
উল্লেখ্য, স্বামীর দীর্ঘায়ু ও সৌভাগ্যের জন্য ব্রতে শিব-পার্বতীর পুজো হয়। তবে করবা চৌথে গণেশ ও কার্তিকেয়-সহ সমস্ত শিব পরিবারের পুজোর গুরুত্ব রয়েছে। এঁদের পুজোর পরই ব্রতর ফল লাভ করা যায়।
পুরাণ অনুযায়ী কার্তিক মাস সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করে। এই মাসের চতুর্থ দিনেই করবা চৌথ ব্রত পালিত হয়। মহাভারত কালেও কৃষ্ণের পরামর্শে দ্রৌপদী এই ব্রত পালন করেছিলেন। অজ্ঞাতবাসের সময় তপস্যার জন্য নীলগিরি পর্বতে যান অর্জুন। সে সময় অর্জুনের রক্ষার জন্য দ্রৌপদী কৃষ্ণের সাহায্য প্রার্থনা করেন। তখন পার্বতী শিবের জন্য যেমন ব্রত পালন করেছিলেন, দ্রৌপদীকেও তেমন ব্রত পালন করতে বলেন কৃষ্ণ। ব্রত পালনের পরই অর্জুন নিরাপদ ফিরে আসেন। এই ব্রতে দ্রৌপদী কৃষ্ণকে চন্দ্রমা রূপে পুজো করেছিলেন।