এবার করবা চৌথের উপবাস ১৩ অক্টোবর রাখা হবে। এই উপবাসে নির্জলা থাকতে হয়, উপবাস রাখলে রাতে চাঁদ দেখে তারপর জল খেয়ে ব্রত ভাঙ্গতে হয়।
করবা চৌথের দিন, স্নান না করে ভোর চার থেকে পাঁচটার মধ্যে সরগি খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। সরগি শাশুড়িরা তার পুত্রবধূকে দেয়। সারগির মাধ্যমে দুধ ফল মিষ্টি ইত্যাদি খাওয়ায়। তারপর মেক-আপের আইটেম - শাড়ি, গয়না ইত্যাদি দেওয়া হয় করবা চৌথের দিন। কিন্তু সকালে স্নান না করেই খাওয়া হয়। সরগি খাওয়ার পর কেউ জল পান করতে বা কিছু খেতে পারে না। এর পরে, স্নান করার পরে, মন্দির পরিষ্কার করুন এবং শিখা জ্বালান। এই উপবাসে চাঁদ দেখার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাতে চাঁদ দেখা গেলেই উপবাস পূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। রাতে চাঁদ দেখা গেলেই অর্ঘ্য নিবেদন করুন। এর সাথে শ্রীগণেশ ও চতুর্থী মাকেও অর্ঘ্য নিবেদন করতে হবে।
করবা চৌথের দিনে, দেবী পার্বতী, ভগবান শিব ও গণেশর সঙ্গে করবা মাতার পূজা করা হয়। এর জন্য আপনাকে করবা মাতার ছবি আনতে হবে। করবা চৌথের উপবাসে চাঁদের পূজা করা হয়। দুপুরে ভোগ নিবেদনের জন্য মিষ্টি, পুডিং, পুরি ইত্যাদি তৈরি করে করবা চৌথের গল্প শোনা হয়।
করবা চৌথ পূজার উপকরণ
চন্দন, মধু, ধূপকাঠি, ফুল, কাঁচা দুধ, চিনি, খাঁটি ঘি, দই, মিষ্টি, গঙ্গাজল, গোটা চাল, সিঁদুর, মেহেন্দি, চিরুনি, টিপ, চুনরি, চুড়ি, ছাকনি, মাটির টুকরো এবং ঢাকনা, প্রদীপ। তুলা, কর্পূর, গম, চিনির গুঁড়া, হলুদ, জলের বোতল, গৌরী তৈরির জন্য হলুদ মাটি, কাঠের আসন, চালনি, পুডিং এবং দক্ষিণার জন্য অর্থ দান ইত্যাদি।