আজ, ৪ নভেম্বর দীপাবলি ও কালীপুজো। এদিন সন্ধ্যা বেলায় অনেক বাড়িতেই লক্ষ্মীপুজো করা হয়। এদিন লক্ষ্মীর সঙ্গে পূজিত হন বিঘ্নহর্তা গণেশও। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর পরে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো হয়। তবে দীপাবলিতে যে লক্ষ্মীপুজো হয়, তা দীপান্বিতা লক্ষ্মী পুজো নামে পরিচিত।
অলক্ষী বিদায় করে লক্ষ্মীকে ঘরে আনার দিন এটি। দীপাবলিতে ঘরে কী ভাবে লক্ষ্মীর আরাধনা করবেন জেনে নিন--
১. দীপাবলিতে লক্ষ্মী পুজো করার আগে পুরো ঘর ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নেবেন। কারণ অপরিচ্ছন্ন স্থানে থাকেন না লক্ষ্মী। নোংরা বাড়িতে প্রবেশই করবেন না তিনি। তাই ঘর ভালো করে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে নিন। কার পর গঙ্গা জলও ছিটিয়ে নেবেন।
২. কাঠের ছোট চৌকির ওপর পরিষ্কার লাল সুতির কাপড় পাতুন। সেখানে সামান্য চাল বা ধান ছড়িয়ে দিন।
৩. এবার ওই চৌকিতে শস্য ছড়ানো স্থানে রুপো বা তামার জল ভরা ঘট স্থাপন করুন। এতে একটা সুপারি, গাঁদাফুল, কয়েন এবং কয়েক দানা চাল দিন। ঘটের মুখে ওপরে আম্রপল্লব রাখুন।
৪. আসনের মাঝখানে লক্ষ্মী ও ঘটের ডান দিকে গণেশের মূর্তি রাখুন। একটা ছোট থালায় বেশি করে চাল দিন, তার পাশে হলুদ গুঁড়ো দিয়ে পদ্মফুল আঁকতে হবে। এতে কয়েকটা কয়েন রাখুন। এবার এই থালা মূর্তির সামনে স্থাপন করুন।
৫. পুজো স্থানে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাশবই, সম্পত্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র, টাকা ইত্যাদি রাখতে পারেন।
৬. এবার লক্ষ্মী-গণেশের ছবিতে তিলক লাগান। এবার একটা প্রদীপ জ্বালান। ঘটেও তিলক কাটতে ভুলবেন না।
৭. এবার ফুল নিবেদন করুন।
৮. হাতে ফুল নিয়ে দীপাবলির পুজোর মন্ত্র পড়ুন। শেষে লক্ষ্মী-গণেশের পায়ে সেই ফুল দিয়ে দিন।
৯. লক্ষ্মীর মূর্তিকে জল দিয়ে স্নান করাবেন। এর পর পঞ্চামৃত স্নান করিয়ে ফের জল দিয়ে পরিষ্কার করুন। পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মূর্তি পরিষ্কার করে ফের স্থাপন করে দিন।
১০. এরপর হলুদ, রোলী এবং চালের তিলক লাগান। মালা পরান এবং ধূপকাঠি দেখান।
১১. লক্ষ্মীকে নারকেল, সুপারি ও পানপাতা নিবেদন করার পর ফল ও মিষ্টি নিবেদন করুন। কিছু ফুল ও কয়েকটা কয়েন মূর্তির সামনে রাখবেন।
১২. শেষে পঞ্চপ্রদীপ জ্বালিয়ে লক্ষ্মীর আরতি সম্পন্ন করুন।