পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, এই বছর ৭ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মার্গশীর্ষ পূর্ণিমার উপবাস পালন করা হবে। হিন্দু ধর্মে মার্গশীর্ষ পূর্ণিমার গুরুত্ব অপরিসীম। মার্গশীর্ষ মাসকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সবচেয়ে প্রিয় মাস বলে মনে করা হয়। তাই মার্গশীর্ষ পূর্ণিমায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিনে উপবাস এবং ব্রত পালন জীবনের অনেক ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়। শাস্ত্র মতে মার্গশীর্ষ পূর্ণিমায় স্নান, দান ও ধ্যান বিশেষ ফলদায়ক বলে বলা হয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে, যদি কেউ এই উপবাসটি পূর্ণ বিশ্বাস ও ভক্তি সহকারে পালন করে তবে এই জন্মেই সে মোক্ষ লাভ করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মার্গশীর্ষ পূর্ণিমার তিথি, শুভ সময় এবং এই দিনে চন্দ্র দেবের পূজার গুরুত্ব।
মার্গশীর্ষ পূর্ণিমা ২০২২ তারিখ
এ বছর মার্গশীর্ষ পূর্ণিমা ৭ই ডিসেম্বর। এদিন দত্তাত্রেয় জয়ন্তীও পালিত হবে। বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২ সকাল ৮.০১ এ পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে এবং পরের দিন ৮ ডিসেম্বর ২০২২ সকাল ০৯.৩৭ এ শেষ হবে।
মার্গশীর্ষ পূর্ণিমার তাৎপর্য
হিন্দু ধর্মে পূর্ণিমাকে বিশেষ তিথি হিসেবে দেখা হয়। পূর্ণিমার দিনে চাঁদ পূর্ণ অবস্থায় থাকে। যেখানে মার্গশীর্ষ পূর্ণিমাকে বলা হয় মোক্ষদায়িনী পূর্ণিমা। এটি বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে দান করা অন্যান্য পূর্ণিমার দিনের তুলনায় ৩২ গুণ বেশি পুণ্য দেয়।
মার্গশীর্ষ পূর্ণিমায় চন্দ্র পূজার গুরুত্ব
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে মার্গশীর্ষ পূর্ণিমা তিথিতে চাঁদকে দুধ নিবেদন করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে চন্দ্রদেবের কৃপায় জীবনে আসে সুখ-সমৃদ্ধি। পূর্ণিমায় চন্দ্রোদয়ের পর চন্দ্র ভগবানকে কাঁচা দুধে মিশ্রি ও চাল মিশিয়ে অর্ঘ্য নিবেদন করতে হবে, এতে সমস্ত কষ্ট দূর হয় এবং সম্পদ বৃদ্ধি পায়।
মার্গশীর্ষ পূর্ণিমায় ম লক্ষীকে বাড়িতে বানানো ক্ষীর নিবেদন করুন। পূজা হয়ে গেলে এই ক্ষীর সকলকে ভাগ করে দিন। এতে বাড়ির সব সদস্যের মধ্যে সম্পর্কে মধুরতা বৃদ্ধি পায় ।