হিন্দুধর্মে সপ্তাহের এক এক দিন এক এক দেব-দেবীকে উত্সর্গ করা হয়। শনিবার হল কর্মফলের দেবতা শনির খুব প্রিয় একটি দিন। এই দিন তাঁর পূজা করা হয়। নানা নিয়ম মেনে হয় সেই পুজো। অনেকেই শনির দশা বা তাঁর রোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় বড়ঠাকুরের পুজো করে থাকেন। হিন্দুশাস্ত্র মতে, শনির অশুভ দৃষ্টি একবার পড়লে জীবন ছাড়খার হয়ে যায়। তাই সঠিক নিয়মে তাঁর আরাধনা করতে হয়। নিয়মের অন্যথা হলেও কিন্তু বিপদ হয়। জানেন কি? বড়ঠাকুরের পুজো করার সময় আরতি করার একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। যদি শনিদেবের আরতি সঠিক নিয়ম মেনে না করা হয়, তাহলে উল্টো প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। যাতে তাঁর রোষের মুখে পড়তে না হয়, পূজা করে তাঁকে তুষ্ট করতে ও আশীর্বাদ পেতে রীতি মেনে পুজো করুন। তিনি প্রসন্ন হলে জীবনে সুখ ও সৌভাগ্যের অভাব হয় না, সাফল্য এসে ধরা দেয় হাতের মুঠোয়। জেনে নিন সঠিক নিয়ম।
শনিদেবের আরতির নিয়ম
আরতি হল পুজো একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। হিন্দু ধর্মে সাধারণত, দেবদেবীর পুজো শেষে আরতি করার প্রথা রয়েছে। কারণ আরতি ছাড়া কোনও পুজোই সম্পূর্ণ বলে মনে করা হয় না। কিন্তু আরতি করারও বেশ কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে, যা মেনে আরতি করতে হয়। শনিদেবকে পুজো করার শেষে আরতি করার জন্য, প্রথমে পুজোর থালা সাজানো উচিত। ঘি বা কর্পূর জ্বালিয়ে ভগবানের গুণাবলীর প্রশংসা করতে করতে করতে আরতি করতে হয়।
আরও পড়ুন: মানি প্ল্যান্ট লাগানোর সময় এই ভুল ভুলেও করবেন না! তাতে লাভের বদলে ক্ষতিই হবে
আরতি করার সময় অবশ্যই মনে রাখবেন যে বিগ্রহের পায়ে চারবার, নাভির দিকে দুবার, মুখের কাছে একবার ও সারা শরীরে সাতবার করে ঘোরাতে হবে। আরতি করার সময় মাথায় কাপড় বা রুমাল দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত। ভক্তিভরে নিয়মানুযায়ী আরতি করলে শনিদেব সন্তুষ্ট হন, আশীর্বাদ প্রদান করেন।
শনিদেবকে আরতি করার সময় কী কী বিষয় খেয়াল রাখবেন?
১) শনিদেবের আরতি করার সময় বা পুজো করার সময় ভুল করেও তাঁর চোখের দিকে একেবারেই তাকাবেন না। চোখ নামিয়ে গোটা পুজো করতে হবে। চোখের দিকে তাকালে শনিদেবের কুদৃষ্টি পড়তে পারে।
২) আরতি করার সময় শনিদেবের মূর্তির সামনে দাঁড়াবেন না।
৩) শনিদেবের আরাধনা করা বা আরতি করার আগে স্নান করে শরীরকে সম্পূর্ণরূপে শুদ্ধ করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বাড়িতে লাগান এই ৫ টি গাছ! হাতে আসবে টাকা! সুখে ভরবে ঘর