আজ অর্থাৎ ১৮ অগস্ট পুত্রদা একাদশী। এদিন সন্তান লাভ এবং তার দীর্ঘায়ু ও সুখী জীবনের কামনায় একাদশী ব্রত পালন করা হয়। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী পুত্রদা একাদশী বা পবিত্রা একাদশী নামে পরিচিত। ১৮ অগস্ট ভোর ৩টে ২০ মিনিটে একাদশী শুরু হয়েছে এবং শেষ হবে ১৯ অগস্ট ভোর রাত ১টা ০৫ মিনিটে।
প্রচলিত আছে যে শ্রদ্ধা-ভক্তি ভরে শ্রাবণ পুত্রদা একাদশী করলে সন্তান সুখ লাভ করা যায়। এর পাশাপাশি ব্যক্তির সমস্ত মনোস্কামনা পূর্ণ হয়। এই ব্রতর প্রভাবে দাম্পত্য জীবন সুখে কাটে। মনে করা হয় একাদশীর দিনে দরিদ্রদের ভোজন করালে এবং কাপড় বিতরণ করলে বিষ্ণু প্রসন্ন হন। এদিন নিয়ম মেনে বিষ্ণুর পুজো করা উচিত। তবে এমন কিছু সময় আছে, যখন ভুলেও বিষ্ণুর পুজো করা উচিত নয়--
রাহুকাল- দুপুর ১২টা ০১ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
যমগণ্ড- সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে ৯টা পর্যন্ত।
গুলিক কাল- ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১২টা পর্যন্ত।
দুর্মুহূর্ত কাল- দুপুর ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে ১২টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত।
বর্জ্য কাল- সকাল ৯টা ০৬ মিনিট থেকে ১০টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত।
ভদ্রা- দুপুর ২টো ১৩ মিনিট থেকে মধ্যরাত্রি ১টা ০৫ মিনিট পর্যন্ত।
জীবনে সুখ-সমৃদ্ধির জন্য আজকের দিনে কী করবেন জেনে নিন-
লক্ষ্মীর পুজো করুন- একাদশীর দিনে সকালে তাড়াতাড়ি উঠে স্নান করে বিষ্ণুর সঙ্গে লক্ষ্মীরও পুজো করুন।
অশ্বত্থ গাছের তলায় প্রদীপ জ্বালান
হিন্দু শাস্ত্রে অশ্বত্থ গাছে দেবী-দেবতার বাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই ঈশ্বরকে প্রসন্ন করার জন্য এবং তাঁদের আশীর্বাদ লাভের জন্য একাদশী তিথিতে অশ্বত্থ গাছের তলায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা উচিত।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করুন
একাদশীর সন্ধেবেলা ঘরের প্রতিটি কোণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করুন। এমন করলে বিষ্ণুর সঙ্গে লক্ষ্মীর আশীর্বাদও লাভ করা যায়। এর প্রভাবে কখনও অর্থাভাব থাকে না।
গোরুর দুধ দিয়ে বিষ্ণুর অভিযেক করুন
একাদশীর দিনে দক্ষিণাবর্তী শঙ্খে গোরুর দুধ নিয়ে বিষ্ণুর অভিষেক করুন। এর ফলে বিষ্ণুর আশীর্বাদ লাভ করা যাবে।
ভাত খাবেন না
একাদশীর দিনে ভাত খাওয়া উচিত নয়। মনে করা হয় একাদশীর দিনে ভাত খেলে ব্যক্তি সরীসৃপ যোনিতে জন্মগ্রহণ করে।