জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, গ্রহের স্থিতি এবং গতি আমাদের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলে। গ্রহের স্থিতি আমাদের পক্ষে হলে, ভালো ফল পাওয়া যায়, আবার কুষ্ঠিতে দুর্বল বা দোষযুক্ত গ্রহ আমাদের অশুভ ফল প্রদান করে থাকে।
এখানে জানুন কোন গ্রহ দুর্বল হলে তার কেমন প্রভাব পড়তে পারে এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রে তার নিবারণের বিবিধ পথ জানানো হয়েছে।
সূর্য: কুষ্ঠিতে সূ্র্য দুর্বল থাকলে, ব্যক্তি বিভিন্ন ধরণের সমস্যা এবং শারীরিক রোগ-দোষের শিকার হন। সূর্যের অশুভ প্রভাবে হৃদরোগ, নেত্র রোগ দেখা দেয়। আর্থিক ক্ষতি ও মান-সম্মানে হানি হয়। মিথ্যা অপবাদ পিছু ছাড়ে না।
উপায়- রবিবার সূর্যোদয়ের সময় জলের অর্ঘ্য দিন। দরিদ্রদের দান করলে সূর্যের অশুভ প্রভাব কম হয়।
চন্দ্র: কুষ্ঠিতে চন্দ্র দুর্বল হলে ব্যক্তি মানসিক অবসাদ ও চিন্তায় ভোগে। আবার ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ ও অর্থাভাবের মতো সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
উপায়- অশুভ প্রভাব কম করার জন্য চাঁদকে দুধ, দই, চাল, সাদা ফুল, সাদা চন্দন এবং কর্পূর দান করুন।
মঙ্গল: কুষ্ঠিতে এই গ্রহ দুর্বল থাকলে হৃদরোগের সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি, ঋণ সংক্রান্ত সমস্যা, জমি-সম্পত্তির বিবাদ দেখা দেয়।
উপায়- মঙ্গলের অশুভ প্রভাব কম করার জন্য লাল কাপড় দান করা উচিত।
বুধ: বুধ দুর্বল হলে ত্বকের রোগ দেখা দেয় এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিবাদ হয়ে থাকে।
উপায়- এক্ষেত্রে সবুজ জিনিস দান করা উচিত।
বৃহস্পতি: কুষ্ঠিতে বৃহস্পতি দুর্বল থাকলে, নিজের পুত্র সন্তানের থেকেই কষ্ট লাভ হয়। শরীর স্থূল হয়। আবার শিক্ষাক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। বিবাহে বাধা উৎপন্ন হয়।
উপায়- এই গ্রহের অশুভ প্রভাব দূর করার জন্য হলুদ বস্ত্র ও পুস্তক দান করা উচিত।
শুক্র: শুক্র দোষের কারণে বৈবাহিক জীবনে সুখের ঘাটতি হয়। দারিদ্র্যের আগমন ঘটে। সুখাভাবে জীবন কাটতে থাকে।
উপায়- লক্ষ্মীর আরাধনা করা উচিত।
শনি: শনি গ্রহের অশুভ প্রভাবের কারণে, অগ্নিকাণ্ড, দুর্ঘটনা, চোখের রোগ ও বাবার সঙ্গে মনোমালিন্য হয়।
উপায়- তেল, সরষে, কালো তিল, কালো কাপড়, জুতো ইত্যাদি দান করা শুভ।
রাহু-কেতু: কুষ্ঠিতে রাহু অশুভ হলে মাথায় আঘাত লাগে ও মানসিক রোগের সম্ভাবনা থাকে। অন্যদিকে কেতু অশুভ হলে ব্যক্তিকে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হতে হয়।
উপায়- রাহুর প্রভাব কম করার জন্য কোনও দরিদ্রকে কাপড় দান করা উচিত। নারকেল, বিউলি ডাল ইত্যাদি দান করলে কেতুকে শান্ত করা যায়।