আজ ২০ জুলাই দেবশয়নী একাদশী। আজকের দিন থেকেই ৪ মাসের জন্য নিদ্রায় যাবেন বিষ্ণু। এর পর ১৪ নভেম্বর দেবোত্থান একাদশীর দিনে নিদ্রা ভঙ্গ হবে নারায়নের। এই চার মাস যোগীদের জন্য শুভ মনে করা হয়। এ সময় শুভ কর্ম বর্জিত। এই চার মাসে সৃষ্টি সঞ্চালনের দায়িত্ব বিষ্ণু শিবের হাতে তুলে দিয়ে নিদ্রামগ্ন হন।
চার মাস পর ১৪ নভেম্বর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে দেবোত্থান একাদশীর মাধ্যমে নিদ্রা থেকে উঠে যান বিষ্ণু। এর পরই সমস্ত ধরণের মঙ্গল অনুষ্ঠান শুরু হয়। দেবশয়নী একাদশী ব্রত পালন করলে সমস্ত পাপ নাশ হয় এবং সমস্ত ব্যাধি দূর হয়।
এই একাদশীর দিনে বিশেষ মুহূর্তে বিষ্ণুর পূজার্চনা করলে সুফল পাওয়া যায়—
ব্রহ্ম মুহূর্ত- সকাল ৪টে ১৪ মিনিট থেকে ৪টে ৫৫ মিনিট পর্যন্ত।
অভিজিত মুহূর্ত- বেলা ১২টা থেকে ১২টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত।
বিজয় মুহূর্ত- দুপুর ২টো ৪৫ মিনিট থেকে ৩টে ৩৯ মিনিট পর্যন্ত।
গোধূলি মুহূর্ত- সন্ধে ৭টা ০৫ মিনিট থেকে ৭টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত।
অমৃত কাল- সকাল ১০টা ৫৮ মিনিট থেকে ১২টা ২৭ মিনিট পর্যন্ত।
দেবশয়নী একাদশী ব্রত কথা
পুরাণ অনুযায়ী নিজের প্রজা হিতৈষী কাজের জন্য ত্রিলোকে প্রখ্যাত ছিলেন রাজা মান্ধাতা। একদা রাজ্যে ভয়ঙ্কর অকাল দেখা দেয় এবং পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে যায়। প্রজাদের সমস্যা দূর করার জন্য রাজা মান্ধাতা ঋষি অঙ্গিরাকে নিজের সমস্যা জানান ও এর সমাধান করতে বলেন। ঋষি অঙ্গিরা বিধি ও নিয়ম মেনে দেবশয়নী একাদশী ব্রত পালন করতে বলেন। এই একাদশীর মাহাত্ম্যও জানান তিনি। ঋষি অঙ্গিরার কথা মতো রাজা মান্ধাতা একাদশী ব্রত পালন করেন। এই ব্রত ও উপবাসের প্রভাবে রাজ্যে বর্ষা হয় এবং প্রজারা খরার হাত থেকে রক্ষা পায়।