হিন্দু ধর্মে শারদ পূর্ণিমা অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়। শারদ পূর্ণিমা কোজাগরী পূর্ণিমা নামেও খ্যাত। কোজগরী পূর্ণিমার দিনে করা দান চিরস্থায়ী ফল লাভ করে এবং দেবী লক্ষ্মী সন্তুষ্ট হন। আপনার রাশি অনুসারে শারদ পূর্ণিমায় কী কী জিনিস দান করা উচিত তা জেনে নিন।
রাশি অনুযায়ী কী কী দান করা উচিত?
১. মেষ - মেষ রাশির জাতকদের শারদ পূর্ণিমায় দুধ এবং চাল দান করা উচিত। দুধ এবং মধু দিয়ে শিবলিঙ্গ অভিষেক করাও শুভ বলে মনে করা হয়।
২. বৃষ - বৃষ রাশির জাতকদের এই দিনে পায়েশ তৈরি করে দরিদ্রদের দান করা উচিত। রূপা দান করাও শুভ বলে মনে করা হয়।
৩. মিথুন - এই দিনে সবুজ মুগ ডাল এবং সবুজ পোশাক দান করা শুভ বলে মনে করা হয়। মিথুন রাশির জাতকদের জন্য তুলসী পুজোও শুভ বলে মনে করা হয়।
৪. কর্কট - শারদ পূর্ণিমায় গোয়ালঘরে পশুপালন করা কর্কট রাশির জাতকদের জন্য শুভ বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, সন্ধ্যায় চাঁদকে দুধ মিশ্রিত জল দান করা শুভ বলে মনে করা হয়।
৫. সিংহ - সিংহ রাশির জাতকদের দরিদ্র বা অভাবীদের পোশাক এবং খাবার দান করা উচিত।
৬. কন্যা - কন্যা রাশির জাতকদের শারদ পূর্ণিমায় মুগ ডাল এবং সবুজ পোশাক দান করা উচিত। তারা দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করার জন্য তুলসী পাতাও দান করতে পারেন।
আরও পড়ুন - লক্ষ্মীপুজো ২০২৫-এ একই ঘরে চন্দ্র ও দেবগুরু! বিশেষ যোগে পকেট ফুলবে কোন কোন রাশির
আরও পড়ুন - কোজগরী পূর্ণিমায় চন্দ্র ও শনির যুতি! ৪ রাশির জীবনে টাকার ফোয়ারা, সুখবর প্রেমেও
৭. তুলা - তুলা রাশির জাতকদের এই দিনে দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা উচিত। এর সাথে দই এবং সাদা পোশাক দান করা উচিত।
৮. বৃশ্চিক - বৃশ্চিক রাশির জাতক জাতিকাদের শারদ পূর্ণিমায় মধু, দুধ এবং জল দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করা উচিত এবং এই সময়ে ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করা উচিত। বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে চন্দ্র দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৯. ধনু - ধনু রাশির জাতক জাতিকাদের শারদ পূর্ণিমায় হলুদ পোশাক এবং জাফরান দিয়ে তৈরি পায়েশ দান করা উচিত।
১০. মকর - মকর রাশির জাতক জাতিকাদের শারদ পূর্ণিমায় ভগবান শিবের পুজো করা উচিত। এছাড়াও, পিপল গাছে জল নিবেদন করা উচিত এবং চন্দ্র মন্ত্র জপ করা উচিত।
১১. কুম্ভ - এই দিনে পায়েশ দান করা উচিত। রাশিফলের চন্দ্রের অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য, জলে সাদা চন্দন মিশিয়ে শিবলিঙ্গ অভিষেক করা উচিত।
১২. মীন - এই দিনে মীন রাশির জাতক জাতিকাদের দুধ বা দুধ-ভিত্তিক মিষ্টি এবং রূপা দান করা উচিত।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।