আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে শারদ পূর্ণিমা বলা হয়। শারদ পূর্ণিমা কোজাগরী পূর্ণিমা বা লক্ষ্মী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। এই বছর শারদ পূর্ণিমা ৬ অক্টোবর সোমবার। প্রচলিত বিশ্বাস, এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে চন্দ্রদেবের পুজো করলে শুভ ফল পাওয়া যায়।
কেন নিবেদন করা হয় পায়েশ?
শারদ পূর্ণিমার সন্ধ্যায় চাঁদের আলোয় পায়েশ পরিবেশন করা ঐতিহ্যবাহী। মনে করা হয়, দেবী লক্ষ্মী এই দিনে পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ান এবং তাঁর ভক্তদের উপর তাঁর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন। বলা হয়, শারদ পূর্ণিমায় আকাশ থেকে অমৃত বর্ষণ হয়। এই দিনে চাঁদ তার ১৬টি ধাপে পূর্ণ হয়ে ওঠে। এর রশ্মি, অমৃতের মতো, স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই চাঁদের আলোতেই
শারদ পূর্ণিমার চাঁদ কখন উঠবে?
পঞ্জিকা অনুসারে, পূর্ণিমা ৬ অক্টোবর দুপুর ১২:২৩ মিনিটে শুরু হবে এবং ৭ অক্টোবর সকাল ৯:১৬ মিনিটে শেষ হবে। শারদ পূর্ণিমায় চন্দ্রোদয় হবে বিকাল ৫:২৭ মিনিটে। এই সময়ই পায়েশ বা ক্ষীর নিবেদনের শুভ সময়। তবে, স্থানভেদে চন্দ্রোদয়ের সময় সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে।
(আরও পড়ুন - লক্ষ্মী পূর্ণিমায় এড়িয়ে চলুন ৫ ভুল! দুর্ভাগ্যের শেষ থাকবে না, পকেটেও পড়বে টান
আরও পড়ুন - Kojagori Laxmi Puja 2025: বৃহস্পতিবারের লক্ষ্মীপুজোর থেকে কেন আলাদা কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো? কী মাহাত্ম্য এর?)
শারদ পূর্ণিমায় চাঁদকে অর্ঘ্য অর্পণের উপকারিতা
১. জ্যোতিষশাস্ত্রে, চাঁদকে মনের কারক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে ১৬টি ধাপে চাঁদকে অর্ঘ্য অর্পণ করলে মানসিক শান্তি আসে।
২. শারদ পূর্ণিমায় চাঁদের রশ্মি অমৃতের মতো। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে চাঁদের পুজো এবং অর্ঘ্য অর্পণ করলে জীবনে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
৩. শারদ পূর্ণিমায় চাঁদের পুজো করলে রাশিফলের চন্দ্রের অবস্থান মজবুত হয় এবং চন্দ্র দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৪. এই দিনে চাঁদের পুজো করলে বিবাহিত জীবনে সুখ আসে এবং দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস করা হয়।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি শাস্ত্রের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। ধর্মশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।