বছর যখন শরত মাসে প্রবেশ করে, তখন হিন্দু পঞ্জিকার সবচেয়ে পবিত্র রাতগুলির মধ্যে একটি এগিয়ে আসে। শারদ পূর্ণিমা কোজাগরী পূর্ণিমা হল সেই রাত। এই রাত কেবল পূর্ণিমা নয়। এটি সেই রাত যখন চাঁদ সমস্ত ষোলটি কলা নিয়ে আলোকিত হয়। এই পর্যায়গুলি ঐশ্বরিক পূর্ণতা, সৌন্দর্য এবং মানসিক ভারসাম্যের প্রতিনিধিত্ব করে। এই পবিত্র রাতে, চাঁদ পৃথিবীতে ‘অমৃত’ বর্ষণ করে বলে মনে করা হয়। চাদের রশ্মিকে সূক্ষ্ম মহাজাগতিক অমৃত বলা হয় যা নিরাময়, প্রাচুর্য এবং শান্তি নিয়ে আসে।
শারদ পূর্ণিমা ২০২৫ তারিখ এবং সময়
পূর্ণিমা তিথি শুরু - দুপুর ১২:২৩, ৬ অক্টোবর, ২০২৫
পূর্ণিমা তিথি শেষ - সকাল ৯:১৬, ৭ অক্টোবর, ২০২৫
যেহেতু মধ্যরাতের সময় পূর্ণিমা তার সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে, তাই শারদ পূর্ণিমা ৬ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে উদযাপিত হবে।
এই বছরের শারদ পূর্ণিমা বিশেষভাবে বিরল
এটি সোমবারে পড়ে, যে দিনটি চাঁদ দ্বারা শাসিত হয়। এটি বৃদ্ধি এবং ধ্রুব যোগের সাথে মিলে যায়, যা সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করে। চন্দ্র এবং শনি মীন রাশিতে মিলিত হবে, কর্মের নিরাময় এবং মানসিক ভারসাম্য বৃদ্ধি করবে। রাহু এবং শনি একই নক্ষত্র ভাগ করে নেবে, অভ্যন্তরীণ রূপান্তরের শক্তিকে শক্তিশালী করবে। বহু দশক পরে আবির্ভূত এই স্বর্গীয় যোগ রাতটিকে আধ্যাত্মিক জাগরণ, মানসিক মুক্তি এবং প্রাচুর্য আকর্ষণের জন্য একটি শক্তিশালী সময় করে তোলে।
আরও পড়ুন - কোজাগরী পূর্ণিমায় ১০ ঘণ্টার বেশি সময় থাকবে ভদ্রের ছায়া! দেখে নিন পুজোর শুভক্ষণ
আরও পড়ুন - কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর রাতে করুন এই ৫ কাজ! মায়ের অশেষ কৃপায় ধন্য হবে সংসার
কোজাগরী পূর্ণিমায় কীভাবে বানাবেন পায়েশ?
শারদ পূর্ণিমায় চাঁদের আলোয় পায়েশ রাখা একটি প্রাচীন ঐতিহ্য যা ভক্তির সাথে মহাজাগতিক বিজ্ঞানের মিশ্রণ ঘটায়। এই রাতে চাঁদের রশ্মি একটি নিরাময়কারী কম্পন বহন করে বলে জানা যায়। এটি পায়েশকে ঐশ্বরিক অমৃতের রূপ দেয়। দুধ পবিত্রতা এবং প্রশান্তি প্রতীক। ভাত সমৃদ্ধি এবং উর্বরতার প্রতীক। জ্যোতিষীরা পায়েশের শক্তি বৃদ্ধি করতে কেসর (জাফরান), সবুজ এলাচ, শুকনো নারকেল এবং কাজু যোগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। সাধারণ প্রণালীতে পায়েশ বানাবার পর জুড়়তে হবে এই উপকরণগুলি।