হিন্দু ধর্মে শারদ পূর্ণিমাকে অত্যন্ত পবিত্র ও শুভ রাত্রি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি কোজাগরী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। বিশ্বাস করা হয়, দেবী লক্ষ্মী এই রাতে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং ভক্তদের আশীর্বাদ করেন। এই পবিত্র রাতে, চাঁদ তার ষোলটি ধাপ পূর্ণ করে এবং এর রশ্মি অমৃত বর্ষণ করে। এই বছর কোজাগরী পূর্ণিমা ৬ অক্টোবর। কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে ক্ষীর বা পায়েশ তৈরি করে চাঁদের আলোর নীচে রাখার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এটি করলে জীবনে ইতিবাচক শক্তি আসে এবং দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ আসে। তবে, বাড়িতে সুখ, সমৃদ্ধি এবং মঙ্গল বয়ে আনার জন্য এই রাতে আরও বেশ কয়েকটি প্রতিকার করা যেতে পারে।
শারদ পূর্ণিমায় করুন এই প্রতিকার
১. চাঁদকে জল উৎসর্গ করুন: একটি পাত্র জলে ভরে, চাল এবং ফুল যোগ করুন এবং চাঁদের দিকে মুখ করে তা উৎসর্গ করুন। এটি করলে চন্দ্র দেবতার আশীর্বাদ লাভ হয় এবং বাড়িতে শান্তি ও সম্পদ আসে।
২. ক্ষীরের গুরুত্ব: ক্ষীর তৈরি করুন এবং রাতভর খোলা আকাশের নীচে রাখুন। বিশেষ করে মাটির পাত্রে। এর ফলে সুস্বাস্থ্য এবং দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভ হয়।
৩. মন্ত্র জপ: "ওঁ শ্রীম হ্রিম ক্লীম ত্রিভুবন মহালক্ষ্ম্যৈ অসমাঙ্ক দারিদ্র্য নাশি প্রভার ধন দেহি দেহি ক্লীম হ্রিম শ্রীম ওঁ" ১০৮ বার জপ করুন। এতে সম্পদ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন - কোজাগরী পূর্ণিমায় পূর্ণচন্দ্র উদয় হবে কখন? জানুন পায়েশ নিবেদনের উপকারিতা
আরও পড়ুন - লক্ষ্মী পূর্ণিমায় এড়়িয়ে চলুন ৫ ভুল! দুর্ভাগ্যের শেষ থাকবে না, পকেটেও পড়বে টান
৪. পুজোর উপকরণ: পুজোয় ধানের শিষ, আখ, নারকেল এবং খেজুর ফলের তৈরি খুজা ব্যবহার করুন। এই পুজো আরও কার্যকর।
৫. জেগে থাকুন: সারা রাত জেগে থাকুন এবং দেবী লক্ষ্মীর পুজো করুন। এতে দেবী লক্ষ্মীর বিশেষ আশীর্বাদ আসে এবং বাড়িতে সম্পদ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।