হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে শারদ পূর্ণিমা পালিত হয়। এটি বছরের সবচেয়ে বিশেষ এবং পবিত্র পূর্ণিমা হিসাবে বিবেচিত হয়। এর রশ্মিকে অমৃত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস, কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে চাঁদের রশ্মি ঐশ্বরিক ঔষধি গুণাবলী ধারণ করে, যা শরীর ও মন উভয়কেই শান্তি প্রদান করে।
রাশি অনুযায়ী শারদ পূর্ণিমায় কী প্রতিকার করবেন ?
১. মেষ: দুধ এবং চাল দান করুন। মধু এবং দুধ দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করুন। "ওঁ চন্দ্রায় নমঃ" মন্ত্রটি জপ করুন।
২. বৃষ: ক্ষীর তৈরি করে দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করুন। লক্ষ্মী-নারায়ণের পূজা করুন এবং রূপা দান করুন।
৩. মিথুন: উপবাস করুন এবং ভগবান শিবের পূজা করুন। ছোলা এবং সবুজ পোশাক দান করুন। তুলসীকে জল উৎসর্গ করুন।
৪. কর্কট: আপনার মায়ের সেবা করুন এবং গোয়ালঘরে পশুখাদ্য দান করুন। রাতে চাঁদকে দুধ মিশ্রিত জল উৎসর্গ করুন।
৫. সিংহ: চন্দ্রের পূজা করুন, সাদা ফুল এবং চিনি উৎসর্গ করুন। পোশাক দান করুন এবং ব্রাহ্মণদের খাওয়ান।
৬. কন্যা: বিষ্ণু সহস্রনাম পাঠ করুন। ছোলা, সবুজ পোশাক এবং তুলসী পাতা দান করুন।
(আরও পড়ুন - কোজাগরী পূর্ণিমায় পূর্ণচন্দ্র উদয় হবে কখন? জানুন পায়েশ নিবেদনের উপকারিতা
আরও পড়ুন - লক্ষ্মী পূর্ণিমায় এড়িয়ে চলুন ৫ ভুল! দুর্ভাগ্যের শেষ থাকবে না, পকেটেও পড়বে টান)
৭. তুলা: দই দান করুন এবং সাদা পোশাক বিতরণ করুন। মেয়েদের খাওয়ান এবং লক্ষ্মী-নারায়ণের পূজা করুন।
৮. বৃশ্চিক: দুধ, জল এবং মধু দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করুন। "ওঁ নমঃ শিবায়" মন্ত্রটি জপ করুন।
৯. ধনু: বিষ্ণু মন্দিরে যান এবং পূজা করুন। গুরুকে হলুদ পোশাক এবং হলুদ ও জাফরান দিয়ে তৈরি ক্ষীর দান করুন।
১০. মকর: পিপল গাছে জল অর্পণ করুন এবং চন্দ্র মন্ত্র জপ করুন। শিবের পূজা করলে শুভ ফল পাবেন।
১১. কুম্ভ: সাদা চন্দন মিশ্রিত জল দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করুন। অভাবীদের মধ্যে ক্ষীর বিতরণ করুন।
১২. মীন: দুধ, সাদা মিষ্টি এবং রূপা দান করুন। "ওঁ সোময় নমঃ" মন্ত্র জপ করুন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।