জি বাংলার নতুন শো 'রান্নাঘর'-এ প্রধান মুখ এবার কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাদ পড়েছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। সেই নিয়ে হতাশাও উগরে দিয়েছেন সুদীপা। তবে সে-সবকে পাত্তা দিতে না-রাজ কনীনিকা। আর কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হচ্ছে শ্যুটিং। সেই নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন কনীনিকা।
বহুদিন ছোটপর্দা থেকে সরেছিলেন কনীনিকা, তাহলে কেন 'রান্নাঘর'-এর সঞ্চালনা করতে রাজি হলেন? এবিপি লাইভকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলছেন, ‘আমাদের মতো অভিনেত্রীদের ছোটপর্দা ছাড়া রোজগারের সুযোগ খুব কম। যে পরিধির কাজ আমরা পাই, সেটা নিয়ে টিঁকে থাকা যায় না। সবাই কিছু না কিছু অন্য করছে। আমি গত ৬ মাস হাসপাতালে ভর্তি, বাড়িতে ছোট্ট কিয়া। এই মুহূর্তে আমার হাতে মেগা সিরিয়ালের কাজ নেওয়া সম্ভব নয়। জি বাংলা আমার কাছে পরিবারের মতো। যখন এই অফারটা এল, মনে হয়েছিল মেগার মতো সময় দিতে হবে না। কিন্তু মেয়েকে সামলে কাজটা করতে পারব।’ তাছাড়াও প্রজাপতি', 'প্রধান'তে এই টিমের সঙ্গেই কাজ করেছেন অভিনেত্রী। তাই তাঁর ভাষায়, ‘রান্নাঘর, আমার কাছে অনেকটা ঘরে ফেরার মতোই।'
তবে ‘রান্নাঘর’ বলতেই তার সঙ্গে জড়িয়ে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের নাম। তাঁর জায়গায় নিজেকে কীভাবে প্রতিষ্ঠা করবেন কনীনিকা? এ প্রসঙ্গে তাঁর সাফ জবাব, ‘জীবনের এমন একটা সময়ে পৌঁছে গিয়েছি, যখন আর এগুলো নিয়ে ভাবি না। যে কাজই করব, ভালবেসে করব। সুদীপার জায়গায় আমি নতুন মুখ.. এই মুহূর্তে এই ভাবনা মাথাতেই আসছে না। তার চেয়ে অনেক বেশি ভাবাচ্ছে, শো-টা কীভাবে সাকসেসফুল হবে।' এখন যুগ বদলেছে। সকলে বর্তমানে ১ মিনিটের শর্টস-এ রান্না দেখেন। সেই জায়গায় আধঘণ্টার এই কুকিং শো চালিয়ে নিয়ে যাওয়া তাঁর কাছে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের। আর সেটা অভিনেত্রীর ভাবনার কারণ। তবে এর আগেও তাঁর সঞ্চালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অভিনেত্রীর মতে, 'অনেক ছোট বয়স থেকেই সঞ্চালনা করছি। আশা করি মানুষকে নতুন স্বাদ দিতে পারব রান্নাঘর-এ।’
প্রসঙ্গত, সুদীপা জানান সঞ্চালিকা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর কনীনিকার পক্ষ থেকে তিনি কোনও ফোন পাননি। সেই বিষয়টা নিয়ে তাঁর একটু খারাপ লাগা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে সুদীপা বলেন, ‘ও আমাকে ফোন করেনি বলে সত্যিই অভিমান হয়েছিল, মনে হচ্ছিল, কেন অন্যের কাছ থেকে শুনতে হল? এত ভাল বন্ধু, কেন আমাকে বলেনি? পরে যদিও ওর জায়গায় নিজেকে রেখে ভাবলাম, সত্যিই তো ফোন করে কী বা বলত ও আমায়? যদি ওটা শুনে আমিও ভ্যা করে কেঁদে দিতাম, তখন? আরও বাজে পরিস্থিতি হত।’