ভগবান বিষ্ণুর প্রিয় মাস কার্তিক। এই পবিত্র মাসে কিছু রাশির জাতক-জাতিকার জীবনে অত্যন্ত শুভ সময় আসতে চলেছে। সনাতন ধর্মে কার্তিক মাসকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র বলে মনে করা হয়। এই মাসে গঙ্গাস্নান, প্রদীপ দান ও তুলসী পূজার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। মনে করা হয়, এই সময়ে বিষ্ণুর আরাধনা করলে সকল মনোবাসনা পূর্ণ হয় এবং কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসে।
কোন কোন রাশির কপাল খুলবে?
মেষ রাশি: এই মাসে পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকবে এবং বন্ধুদের সহযোগিতা পাবেন। আটকে থাকা কাজগুলি সম্পূর্ণ হবে। ব্যবসায় সফলতা আসার সম্ভাবনা রয়েছে এবং আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবেন। বিষ্ণুদেবের কৃপায় উন্নতির নতুন পথ খুলে যেতে পারে।
সিংহ রাশি: সিংহ রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য এই মাসটি খুব শুভ। নতুন কাজে হাত দিলে সাফল্য পাবেন। প্রেম জীবন ভালো কাটবে। অনেক দিনের আটকে থাকা কাজ শেষ হবে। ঘরে শান্তি বিরাজ করবে এবং অপ্রত্যাশিত মুনাফা লাভ হতে পারে। আত্মবিশ্বাস ও নেতৃত্বের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন - রাশি মেনে কোজগরী পূর্ণিমায় দান করুন এই বস্তু, অশেষ কৃপা বর্ষণ করবেন মা লক্ষ্মী
আরও পড়ুন - সূর্যের খেলায় চমকাবে ভাগ্য! সোনায় সোহাগা ব্যবসায়ীদের, কেরিয়ারে রয়েছে ধামাকা অফার
তুলা রাশি: তুলা রাশির জাতকদের জন্য এই মাস ফলদায়ী প্রমাণিত হতে পারে। আপনার ওপর ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ কৃপা বজায় থাকবে। যারা চাকরির সন্ধান করছেন, তারা নতুন চাকরির সুযোগ পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে বাবা-মায়ের সহযোগিতা পাবেন এবং আপনার সমস্ত বাধা দূর হবে।
ধনু রাশি: ধনু রাশির জন্য কার্তিক মাস নতুন আশার সঞ্চার করবে। সারা বছর ধরে করা পরিশ্রমের ফল এই মাসে পেতে পারেন। প্রেমিক বা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ভালো সময় কাটানোর সুযোগ মিলবে। যে কাজগুলি মাঝপথে আটকে ছিল, তা সফলভাবে সম্পন্ন হবে। বিষ্ণুর উপাসনায় বিশেষ ফল লাভ হতে পারে।
কুম্ভ রাশি: কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য কার্তিক মাস খুবই ভালো কাটবে। এই মাসে পরিশ্রমের ফল পেতে শুরু করবেন। ব্যবসায়ীরা ভালো ডিল পেতে পারেন এবং আমদানি বাড়বে। নতুন গাড়ি বা বাড়ি কেনার সুযোগ আসতে পারে। আধ্যাত্মিকতার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। স্বাস্থ্যের দিক থেকেও সময়টা অনুকূল থাকবে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।