আগামী ১৯ নভেম্বর হতে চলেছে চলতি বছরের দ্বিতীয় এবং সর্বশেষ চন্দ্রগ্রহণ। সকাল ১১ টা ৩৪ মিনিট থেকে বিকেল ৫ টা ৩৩ মিনিট পর্যন্ত গ্রহণ হবে। ভারতের একাংশ-সহ ইউরোপ, এশিয়ার অধিকাংশ দেশ, উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা এবং প্রশান্ত মহাসাগর এলাকা থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।
জ্যোতিষশাস্ত্রে চন্দ্রগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চন্দ্রগ্রহণকে জ্যোতিষশাস্ত্রে অশুভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, চন্দ্রগ্রহণের সময় শুভ কাজ করা হয় না। বন্ধ রাখা হয় মন্দিরের দরজা। যদিও বিজ্ঞানে সেই সব ধারণার স্বপক্ষে কোনও যুক্তি নেই বলে দাবি করা হয়। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, চন্দ্রগ্রহণ নেহাতই একটি মহাজাগতিক বিষয়।
কোন রাশির জাতকদের উপর প্রভাব পড়বে?
কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষে পূর্ণিমা তিথিতে (১৯ নভেম্বর, মঙ্গলবার) গ্রহণ হবে। বৃষ এবং কৃতিকা নক্ষত্রে হবে চন্দ্রগ্রহণ। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, এই রাশি এবং এই নক্ষত্রে যাঁরা জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। এই রাশির জাতকদের বিবাদ এড়িয়ে চলতে হবে। চন্দ্রগ্রহণের সময় তাঁদের গাড়ি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গ্রহণের পর কী করা উচিত?
১) জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, চন্দ্রগ্রহণের পর স্নান করে নিতে হবে। স্নান করলে গ্রহণের প্রভাবে কেটে যায় বলে মনে করা হয়। স্নানের জলে গঙ্গাজল মেশানোর পরামর্শ দেন জ্যোতিষীরা।
২) জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, গ্রহণের পর স্নান করে পরিষ্কার জামাকাপড় পরতে হবে।
৩) জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, গ্রহণের পর বাড়ি এবং মন্দিরে গঙ্গাজল ছেটাতে হবে।
৪) জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, গ্রহণের পর দেবী-দেবতাদের গঙ্গাজল দিয়ে অভিষেক করতে হবে।
৫) জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, গ্রহণ শেষ হয়ে যাওয়ার পর গরুকে রুটি খাওয়াতে হবে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : জ্যোতিষীদের মত জানানো হল। এই প্রতিবেদনের কোনও দাবি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার নয়।)