মাত্র ৬ দিন পর সংগঠিত হবে বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ। এটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে। ১৬ মে, বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে চন্দ্র গ্রহণ সংগঠিত হবে। বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে পবিত্র নদীতে দান, স্নান করার নিয়ম রয়েছে। তবে চন্দ্র গ্রহণের দিনে কোনও শুভ কাজ করা উচিত নয়। এমনকী পূজার্চনাতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে গত সূর্য গ্রহণের মতো এই চন্দ্র গ্রহণও ভারতে দেখা যাবে না, যে কারণে এর সূতক কাল মান্য হবে না।
চন্দ্রগ্রহণের সময়
ভারতীয় সময় অনুযায়ী, সকাল সাতটা আট মিনিটে গ্রহণ শুরু হবে। বেলা ১২ টা ২৩ মিনিট তিন সেকেন্ডে শেষ হবে চন্দ্রগ্রহণ।
সূতক কাল
এই চন্দ্রগ্রহণের সূতক কাল মান্য হবে না। কারণ এটি ভারতে দেখা যাচ্ছে ন। সাধারণত চন্দ্রগ্রহণে ৯ ঘণ্টা আগে থেকেই সূতক কাল শুরু হয়ে যায়।
কোথায় দেখা দেবে?
পশ্চিম ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর-দক্ষিণ আমেরিকা, আন্টার্কাটিকা, আটলান্টিক মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।
রাশির ওপর প্রভাব
মেষ, সিংহ ও ধনু রাশির জাতকদের জন্য এই গ্রহণ শুভ প্রমাণিত হবে। আটকে থাকা কাজে সাফল্য লাভ করবেন। নতুন ব্যবসার যোগ রয়েছে। পাশাপাশি নতুন চাকরির প্রস্তাবও পাবেন। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি হতে পারে। অর্থ, বৈভবে বৃদ্ধি হবে। লক্ষ্মীর আশীর্বাদে ধন বর্ষার যোগ রয়েছে। আর্থিক সংকট দূর হবে।
গ্রহণ ও সূতক কালে যে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়
- সূতক কালের সময় গ্রহণ সংক্রান্ত গ্রহ শান্তি পাঠ করুন ও মন্ত্র জপ করুন।
- সূতক কালে রান্না করবেন না। রান্না করা হয়ে গেলে তাতে তুলসী পাতা বা কুশ দিয়ে রাখুন।
- চন্দ্রগ্রহণের সময় চন্দ্র মন্ত্র জপ করলে লাভ হবে।
- গ্রহণের সময় পুজো করলে মাটির প্রদীপ ব্যবহার করুন।
- গ্রহণ শেষ হওয়ার পর বাড়ি ও পুজোঘরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধ করুন।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে যে সব কথা বলা হয়েছে, তা পুরোপুরি সঠিক হবে, এমন দাবি করছে না হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। পুরোটাই জ্যোতিষীদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।)