আগামী ৫ জুন দেখা যাবে বছরের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে দেখা গিয়েছিল ২০২০ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ।
পাঁজি অনুযায়ী, জৈষ্ঠ্য মাসের পূর্ণিমা তিথিতে চন্দ্রগ্রহণ হবে। এটি একটি উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ। ৫ জুন রাত ১১.১৫ মিনিটে গ্রহণ লাগবে, যা ৬ জুন রাত ২.৩৪ মিনিট পর্যন্ত থাকবে।
গ্রহণের সময় চন্দ্র বৃশ্চিক রাশিতে ভ্রমণ করবে। চন্দ্রগ্রহণের পূর্বে চন্দ্রকলা পৃথিবীর উপচ্ছায়ায় প্রবেশ করে। এই প্রক্রিয়াকে penumbra বলা হয়। উপচ্ছায়ায় চাঁদ আবছা দেখা যায়, তাই একে 'চন্দ্র মালিন্য'ও বলা হয়। হিন্দুশাস্ত্রে যে কোনও গ্রহণকাল অশুভ সময়াবধি। এ সময় কোনও শুভ কাজ করা উচিত নয়। গ্রহণ শুরুর ৯ ঘণ্টা আগে থেকে ‘সূতক কাল’ শুরু হয়ে যায়, যা গ্রহণ শেষের সঙ্গে সঙ্গে সমাপ্ত হয়। তবে উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণে সূতক কালের প্রভাব মান্য হয় না।
চন্দ্রগ্রহণের স্থানীয় সময়:
শুরু- ৫ জুন রাত ১১.১৫ মিনিট
পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ- ৬ জুন ১২.৫৪ মিনিট
উপচ্ছায়ায় চন্দ্রগ্রহণের অন্তিম স্পর্শ- ২.৩৪ মিনিট
চন্দ্রগ্রহণের মোট সময়- ৩ ঘণ্টা ১৮ মিনিট
গ্রহণের সময় কি করবেন না:
- শাস্ত্রে গ্রহণের সময় এবং গ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত দৈবমূর্তি স্পর্শ নিষিদ্ধ।
- বাড়ির মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া উচিত, যাতে ভগবানের ওপর গ্রহণের কোনও প্রভাব না-পড়ে।
- গর্ভবতী মহিলাদের এই সময় সাবধান থাকা উচিত। গ্রহণ দর্শন করা অনুচিত। বাড়ির বাইরে যাওয়াও অনুচিত। এ সময় ছুরি বা কাঁচি ব্যবহার করতে নেই। এমনকী সূচের ব্যবহারও অশুভ। গর্ভবতী হলে হাত-পা মুড়ে বা বেঁকে ঘুমাবেন না। গ্রহণের সময় শরীর সোজা রেখে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
- সূতক কাল এবং গ্রহণের সময় অশুভ শক্তির ক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়, তাই এ সময় নির্জন স্থান বা শ্মশানে যাওয়া উচিত নয়।
- সূতক লাগার পর কোনও শুভ কাজ করবেন না।
- গ্রহণের সময় চুল এবং নখ কাটবেন না। এন ছাড়া ভোজন বা জল গ্রহণও অনুচিত।
গ্রহণের পরে অবশ্যই যা যা করবেন:
- চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ সম্পর্কিত মন্ত্র জপ করা উচিত।
- গ্রহণ শেষ হলে স্নান করে শুদ্ধবস্ত্র পড়ে দান করা উচিত।
- গ্হণ শেষ হলেই অন্য কোনও কাজ করবেন।
- গ্রহণ শেষ হলে সারাঘরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধ করা উচিত।
- কাছাকাছি কোনও মন্দিরে পুজো করে দান করুন।
- গ্রহণ শেষ হলে, গোরুকে রুটি খাওয়ানো শুভ।
- লক্ষ্মীর কৃপা প্রাপ্তির জন্য গ্রহণের পরে ইন্দ্রের পুজো করার বিধান রয়েছে।
- তুলসী চারার পাশে অবশ্যই প্রদীপ জ্বালাবেন। এতে বাড়ির পরিবেশ প্রাণোজ্জ্বল থাকে।