আগামী ১১ মার্চ মহাশিবরাত্রি। প্রদোষকালেই এই পুজোর সর্বশ্রেষ্ঠ ফল লাভ করা যায়। ত্রয়োদশী তিথির সমাপ্তি ও চতুর্দশী তিথি আরম্ভের সন্ধিকালই এর উপযুক্ত সময়কাল। যে কোনও তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ, করণ ইত্যাদি অথবা সকাল ও সন্ধ্যার সন্ধিকালকে প্রদোষ কাল বলা হয়। প্রতিমাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে শিবরাত্রি পালন করা হলেও ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি মহাশিবরাত্রি হিসেবে পালিত। মহাশিবরাত্রিতে ভোলানাথকে প্রসন্ন করতে ও পৃথক পৃথক মনস্কামনা পূর্তির জন্য পৃথক নিয়মে শিবের অভিষেক করা হয়।
১. শিবকে শীঘ্র প্রসন্ন করার জন্য ও ইচ্ছানুযায়ী আশীর্বাদ লাভের জন্য মহাশিবরাত্রির দিনে শিবলিঙ্গে কাঁচা দুধ অর্পণ করা উচিত। কাঁচা দুধ দিয়ে শিবের অভিষেক করলে আরোগ্য লাভ সম্ভব হয় ও সন্তান সুখ পাওয়া যায়।
২. দুঃখ দূর করার জন্য মহাশিবরাত্রির দিনে কোনও পবিত্র নদীর জল দিয়ে ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করে শিবের অভিষেক করুন।
৩. ধন বৃদ্ধি ও দীর্ঘায়ুর জন্য এদিন গাওয়া ঘি দিয়ে শিবের অভিষেক করুন।
৪. গ্রহ দোষ ও শত্রু বাধা দূর করার জন্য মহাশিবরাত্রিতে সরষের তেল দিয়ে শিবের অভিষেক করলে সুফল পেতে পারেন। এই অভিষেকের ফলে শত্রু নাশ হয়।
৫. আবার মহাশিবরাত্রির দিন চন্দন দিয়ে শিবের অভিষেক করতে ভুলবেন না, কারণ এর ফলে শিবের আশীর্বাদ লাভের পাশাপাশি সাধকের ভাগ্যোদয় হয়। সমাজে মান-সম্মান ও ঐশ্বর্য লাভ সম্ভব হয় ওঠে।
৫. মধু দিয়ে শিবের অভিষেক করলে পাপমুক্তি সম্ভব হয়। পাশাপাশি ঋণমুক্তি ঘটে। এমনকি পরিজনদের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় থাকে।
৬. মহাশিবারাত্রির দিনে দই দিয়ে শিবের অভিষেক করুন। এর ফলে জীবনের সমস্ত সমস্যা দূর হবে। পাশাপাশি সাধক বাহন সুখও লাভ করতে পারে।