মার্গশীর্ষ মাসের শুক্লপক্ষে যে একাদশী হয়, তা মোক্ষদা একাদশী নামে পরিচিত। ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী এই একাদশীর ব্রত পালন করলে পূর্বপুরুষরা মোক্ষ লাভ করেন। হিন্দু ধর্মে একাদশীর গুরুত্ব অপরিসীম। একাদশীর দিন বিষ্ণুকে সমর্পিত। এদকাদশী ব্রত পালন করলে জীবনে আনন্দের আগমন ঘটে এবং মৃত্যুর পর ব্যক্তি মোক্ষ লাভ করে।
মোক্ষদা একাদশীর মুহূর্ত
একাদশী তিথি শুরু- ১৩ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৩২ মিনিটে।
একাদশী তিথি সমাপ্ত- ১৪ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৩৫ মিনিট।
ব্রতভঙ্গের সময়- ১৫ ডিসেম্বর সকাল ৭টা ০৫ মিনিট থেকে ৯টা ০৯ মিনিটের মধ্যে।
শুভক্ষণ
ব্রহ্মমুহূর্ত- ভোর ৫টা ১৬ মিনিট থেকে ৬টা ১১ মিনিট পর্যন্ত।
অভিজিত মুহূর্ত- বেলা ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে ১২টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত।
বিজয় মুহূর্ত- দুপুর ১টা ৫৯ মিনিট থেকে ২টো ৪১ মিনিট।
গোধূলি মুহূর্ত- সন্ধে ৫টা ১৬ মিনিট থেকে ৫টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত।
অমৃত কাল- রাত ৮টা ৪২ মিনিট থেকে ১০টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত।
নিশিতা মুহূর্ত- রাত ১১টা ৪৯ মিনিট থেকে ১২টা ৪৩ মিনিট (১৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত।
সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ- সকাল ৭টা ০৬ মিনিট থেকে ৪টে ৪০ মিনিট (১৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত।
অমৃত সিদ্ধি যোগ- সকাল ৭টা ০৬ মিনিট থেকে ৪টে ৪০ মিনিট (১৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত।
মোক্ষদা একাদশী ব্রতকথা
পুরাণ অনুযায়ী গোকুলে বৈখানস নামক এক রাজা ছিলেন। এক রাতে স্বপ্নে নিজের বাবার মৃত্যুর পর তাঁকে নরক যাতনা ভোগ করতে দেখেন। নিজের বাবার এমন পরিস্থিতি দেখে রাজা কষ্ট পান। পরের দিন রাজ পুরোহিতকে ডেকে নিজের পিতার মুক্তির উপায় জিগ্যেস করেন রাজা। পুরোহিত জানান যে, পর্বত নামক ত্রিকালদর্শী মহাত্মা এর সমাধান করতে পারেন। এর পর পর্বত মহাত্মার আশ্রমে যান রাজা। তাঁকে নিজের বাবার মুক্তির পথ জিগ্যেস করেন রাজা। মহাত্মা জানান, তাঁর বাবা গত জন্মে একটি পাপ করেছিলেন, এ কারণে নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে তাঁকে। এর পর এই পাপ থেকে মুক্তির উপায় জিগ্যেস করেন। মার্গশীর্ষ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী মোক্ষদা একাদশী নামে খ্যাত। এদিন নিয়ম মেনে পুজো করলে তাঁর পিতা মুক্তি পেতে পারেন বলে জানান মহাত্মা। এ কথা শুনে রাজা মোক্ষদা একাদশীর ব্রত ও পুজো করেন। এই একাদশীর পুণ্য প্রভাবে রাজার বাবা মুক্তি লাভ করেন এবং সেই মুক্ত আত্মা রাজাকে আশীর্বাদ দেন।
দেন।