বাংলা নিউজ > ভাগ্যলিপি > ২৫ জুলাই নাগপঞ্চমী, জানুন এর তিথি ও গুরুত্ব

২৫ জুলাই নাগপঞ্চমী, জানুন এর তিথি ও গুরুত্ব

অনন্ত, বাসুকি, তক্ষক, কর্কোটক, পদম, মহাপদম, শঙ্খপাল ও কুলিক- এই আটটি নাগকে শ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে।

শ্রাবণ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে নাগ পঞ্চমী পালিত হয়। এ বছর ২৫ জুলাই, শনিবার নাগ পঞ্চমী পালিত হবে। 

শ্রাবণ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে নাগ পঞ্চমী পালিত হয়। এ বছর ২৫ জুলাই, শনিবার নাগ পঞ্চমী পালিত হবে। এই উৎসব নাগ দেবতাকে উৎসর্গীকৃত। এদিন নাগ দেবতার পুজো করা হয় ও উপোস রাখা হয়। ধর্মীয় ধ্যান-ধারণা অনুযায়ী নাগ পঞ্চমীর দিনে নাগ দেবতার আরাধনা করলে একাধিক শুভ ফল লাভ করা যায়। অনন্ত, বাসুকি, তক্ষক, কর্কোটক, পদম, মহাপদম, শঙ্খপাল ও কুলিক নামক আটটি নাগকে এই পুজোর দেবতা মনে করা হয়।

নাগ পঞ্চমীর শুভ সময়:

পঞ্চমী তিথি শুরু- ২৪ জুলাই ১৪:৩৩ মিনিট

পঞ্চমী তিথি সমাপ্ত- ২৫ জুলাই ১২:০১ মিনিট

নাগ পঞ্চমীর পুজোর সময়- ৫:৩৮:৪২ মিনিট থেকে ৮:২২:১১ মিনিট পর্যন্ত

মোট সময়- ২ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট

নাগ পঞ্চমীর গুরুত্ব:

ধন-সমৃদ্ধির জন্য নাগ দেবতার পুজো করা হয়। মনে করা হয় যে, নাগ দেবতা লক্ষ্মীর রক্ষক। এদিন শ্রীয়া, নাগ ও ব্রহ্ম অর্থাৎ শিবলিঙ্গ স্বরূপের আরাধনা করলে মনস্কামনা পুর্ণ হয়। কুষ্ঠিতে কালসর্প দোষ থাকলে, অবশ্যই এই পুজো করা উচিত। আবার প্রায়ই সাপের স্বপ্ন দেখলে বা সাপকে অত্যধিক ভয় পেলে এই পুজো করা উচিত। 

নাগ পঞ্চমীর সঙ্গে যুক্ত কিছু ধারণা ও লোককথা:

  • হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী ব্রহ্মার পুত্র ঋষি কশ্যপের চারজন স্ত্রী ছিলেন। মনে করা হয়, তাঁর প্রথম স্ত্রী থেকে দেবতা, দ্বিতীয় স্ত্রী থেকে গরুড় ও চতুর্থ স্ত্রী থেকে দানবের উৎপত্তি হয়। কিন্তু নাগ বংশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তাঁর তৃতীয় স্ত্রী কদ্রু নাগ প্রসব করেন।
  • পুরাণ অনুযায়ী সর্প দু’ধরণের দিব্য ও ভৌম। দিব্যসর্প বাসুকী, তক্ষক ইত্যাদি। এঁদের পৃথিবীর ভার বহনকারী ও প্রজ্জ্বলিত অগ্নির সমান তেজস্বী মনে করা হয়। আবার যে নাগ ভূমিতে উৎপন্ন হয়, তারা সংখ্যা ৮০টি, এমন উল্লেখ করা হয়েছে।
  • অনন্ত, বাসুকি, তক্ষক, কর্কোটক, পদম, মহাপদম, শঙ্খপাল ও কুলিক- এই আট নাগকে শ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে। এঁদের মধ্যে অনন্ত ও কুলিক ব্রাহ্মণ, বাসুকি ও শঙ্খপাল ক্ষত্রিয়, তক্ষক ও মহাপদম বৈশ্য ও পদম ও কর্কোটককে শূদ্র বলা হয়েছে।
  • পুরাণ অনুযায়ী, অর্জুনের পৌত্র ও পরীক্ষিতের পুত্র জন্মেজয় তক্ষক নাগের দংশনে নিজের পিতার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ও নাগবংশ ধ্বংস করার জন্য একটি যজ্ঞ করেছিলেন। নাগদের রক্ষার জন্য ঋষি জরৎকারুর পুত্র আস্তিক মুনি এই যজ্ঞ আটকান। যে দিন এই যজ্ঞ থামানো হয়, সেদিনটি ছিল শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথি। এর ফলে তক্ষক ও নাগ বংশ বেঁচে যায়। মনে করা হয় তখন থেকেই নাগ পঞ্চমীর পর্ব শুরু হয়।
  • আবার কালীয় নাগের বিপক্ষে কৃষ্ণের বিজয়কেও নাগ পঞ্চমীর সঙ্গে যুক্ত করে দেখা হয়। মনে করা হয়, এই কারণেই নাগ পঞ্চমী পালিত হয়।

বন্ধ করুন