৭ অক্টোবর থেকে শারোদৎসব। দুর্গার আগমনের তোড়জোড় তুঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের দুর্গোৎসব ও অন্যান্য রাজ্যের নবরাত্রির উদ্দেশ্য একই, দেবী দুর্গার আরাধনা। নবরাত্রির ৯ দিনে দুর্গার নটি রুপের পুজো করা হয়। শারদীয়া নবরাত্রি অধর্মের ওপর ধর্মের বিজয়ের প্রতীক। শারদীয়া নবরাত্রির দশমীর দিনে বিজয়াদশমী পালিত হয়।
নবরাত্রির ৯ দিনে দুর্গার কোন কোন রূপের পুজো হয়, দেখে নিন—
১. শৈলপুত্রী- দুর্গার প্রথম রূপ শৈলপুত্রী। পর্বতরাজ হিমালয়ের কন্যা। এঁকে করুণা ও মমতার দেবী মনে করা হয়। ভক্তি ভরে দুর্গার এই রূপের পুজো করলে সুখ ও সিদ্ধি লাভ করা যায়।
২. ব্রহ্মচারিণী- এটি দেবী দুর্গার দ্বিতীয় রূপ। ব্রহ্মচারিণীর পুজো করলে যশ, সিদ্ধি ও সর্বত্র বিজয় লাভ করা যায়। শঙ্করকে স্বামী রূপে লাভ করার জন্য কঠোর তপস্যা করেন তিনি। তাই তিনি তপশ্চারিণী নামেও পরিচিত।
৩. চন্দ্রঘণ্টা- প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী সিংহে সওয়ার চন্দ্রঘণ্টার পুজো করলে ভক্তদের কষ্ট শেষ হয়ে যায়। চন্দ্রঘণ্টার পুজো করলে মনে শক্তি আসে এবং বীরত্ব লাভ করা যায়।
৪. কূষ্মাণ্ডা- দেবী দুর্গার চতুর্থ রূপ কূষ্মাণ্ডা। কূষ্মাণ্ডার উপাসনা করলে সমস্ত রোগ-শোক মিটে যায়। এর ফলে আয়ু, যশ, বল ও আরোগ্য বৃদ্ধি হয়।
৫. স্কন্দমাতা- মনে করা হয় ভক্তদের সমস্ত মনোস্কামনা পূর্ণ করে দেবী দুর্গার এই রূপ। মোক্ষের দ্বার উন্মুক্তকারী দেবী হিসেবেও পূজিত হন স্কন্দমাতা।
৬. কাত্যায়নী- দুর্গার এই ষষ্ঠ রূপকে উমা, হেমাবতী ও ঈশ্বরী নামেও জানা যায়। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী মহর্ষি কাত্যায়নের পুত্রী হিসেবে তাঁর নাম হয় কাত্যায়নী। মনে করা হয়, যে মেয়েদের বিয়েতে দেরি হয়, তাঁরা ইচ্ছামতো বর লাভের জন্য কাত্যায়নীর পুজো করেন।
৭. কালরাত্রি- দুর্গার সপ্তম রূপ কালরাত্রি। মনে করা হয় কালরাত্রির পুজো করলে অসুরের নাশ হয়। তাই দুর্গার এই রূপকে কালরাত্রি বলা হয়। এই দেবী সর্বদা শুভ ফল প্রদান করেন বলে শুভঙ্করীও বলা হয়।
৮. মহাগৌরী- এটি দুর্গার অষ্টম স্বরূপ। নবরাত্রির অষ্টম দিনে মহাগৌরীর পুজো হয়। তিনি শিবের অর্ধাঙ্গিনী। এদিন দুর্গাকে চুনরী দিলে সৌভাগ্য লাভ করা যায়। পাশাপাশি ভক্তদের কষ্টও দূর হয়।
৯. সিদ্ধিদাত্রী- নবরাত্রির সময় দুর্গার নবম রূপ হল মা সিদ্ধিদাত্রীর। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী সিদ্ধিদাত্রীর পুজো করলে আটকে থাকা কাজ পূর্ণ হয় এবং সমস্ত কাজে সিদ্ধি লাভ করা যায়।