এ বছর জুন মাসের ২ তারিখ, আজ নির্জলা একাদশী ব্রত পালিত হবে। একাদশী তিথি বিষ্ণুর অত্যন্ত প্রিয়। একাদশীর দিন বিষ্ণু পুজো করলে সমস্ত ইচ্ছা পূর্ণ হয় এবং পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পুরাণ ও ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী নির্জলা একাদশী বছরের ২৪টি একাদশী তিথির মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এই একদিনের উপোস করলে বছরের ২৪টি একাদশীর সমান ফল পাওয়া যায়। এদিন জল পান করাও নিষিদ্ধ।
নির্জলা একাদশীতে পুজোর নিয়ম:
- এদিন সকালে স্নান করে বাড়ির পূজাস্থানে প্রদীপ জ্বালান।
- দেবতাদের স্নান করিয়ে স্বচ্ছ বস্ত্র পরান।
- এদিন বিষ্ণুর পুজোয় হলুদ বস্ত্র ব্যবহার করা উচিত।
- পুজোর সময়ে ‘ওম নম: ভগবতে বাসুদেবায়’ মন্ত্র উচ্চারণ করতে হয়।
- বিষ্ণুর সঙ্গে লক্ষ্মীরও পুজো করুন।
- ভগবান বিষ্ণুর পুজোয় তুলসী ব্যবহার করবেন। ধর্মীয় গ্রন্থ অনুযায়ী, তুলসী ছাড়া বিষ্ণুর আরাধনা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
- এর পর বিষ্ণু এবং লক্ষ্মীর আরতি করুন।
- নৈবেদ্য অর্পণ করুন। সাত্বিক নৈবেদ্য অর্পণ করবেন।
- ভজন-কীর্তন করবেন।
হিন্দু পাঁজি অনুযায়ী, ২ জুন মঙ্গলবার সকাল ১২.০৫ মিনিট পর্যন্ত একাদশীর পুজো করা যাবে। সারাদিন নির্জলা উপোসের পরে ৩ জুন সকাল ৫.২৩ মিনিট থেকে শুরু কর ৮.০৮ মিনিটের মধ্যে উপোস ভঙ্গ করতে পারেন।
ধর্মীয় গ্রন্থ অনুযায়ী, এ দিন নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী অন্ন, বস্ত্র, পাদুকা ইত্যাদি দান করা যেতে পারে। এই একাদশীতে জলভরা কলসি কাপড়ে ঢেকে দান করার নিয়ম।
নির্জলা একাদশী ব্রত কথা: দ্বিতীয় পাণ্ডব ভীম অত্যধিক ভোজনরসিক হওয়ায় একাদশী ব্রত পালন করতে পারতেন না। ভীম ছাড়া সমস্ত ভাই এবং দ্রৌপদী বছরের সমস্ত একাদশী উপোস করতেন। এর ফলে ভীমের ধারণা হয়, একাদশীতে উপোস না-করে তিনি বিষ্ণুকে উপেক্ষা করছেন। তাই মহর্ষি বেদব্যাস ভীমসেনকে বছরে একবার নির্জলা একাদশী ব্রত পালনের পরামর্শ দেন। তিনি জানান যে, একটি নির্জলা একাদশী অন্য ২৪টি একাদশীর সমান ফলদায়ী। তাই এই একাদশী ভীমসেনী বা পাণ্ডব একাদশী নামেও বিখ্যাত।