Bhai Phonta: ভাইফোঁটার সঙ্গে জড়িয়ে শুধু যম নয় আছেন মা লক্ষ্মীও, কীভাবে শুরু হয়েছিল এই প্রথা

Updated: 02 Nov 2024, 03:00 PM IST Anamika Mitra

How tradition of Bhai phota started: দীপাবলিরপর আসে ভাই ফোঁটার উৎসব যা ভাই বোনের ভালোবাসার প্রতীক। এই দিনে বোন ভাইয়ের কপালে তিলক লাগায় এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন। উৎসব নিয়ে অনেক কিংবদন্তি রয়েছে, আসুন জেনে নিই সেই পৌরাণিক কাহিনি।

1/6ভাই ফোঁটা বা ভাই দুজ এর উৎসবকে ভাউ বীজ, টিক্কা, যম দ্বিতিয়া এবং ভ্রাতৃ দ্বিতিয়াও বলা হয়। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, ভাই দুজের দিন যমরাজ বোন যমুনার বাড়িতে গিয়েছিলেন, তখন থেকেই ভাই দুজ বা যম দ্বিতীয়া পালিত হচ্ছে। সূর্যের পুত্র যম ও যমুনা ছিলেন ভাই বোন। যমুনা তাকে কয়েকবার ডাকার পর একদিন যমরাজ যমুনার বাড়িতে পৌঁছান। যেখানে যমুনা যমরাজকে খাইয়ে তিলক লাগিয়ে সুখী জীবন কামনা করেন। যমরাজ তার বোনকে বর চাইতে বললে যমুনা বললেন, প্রতি বছর আমার বাড়িতে এসো। যে বোন এই দিনে তার ভাইকে তিলক করবে তাঁর অকাল মৃত্যু হবে না। বোনের কথায় খুশি হয়ে যমরাজ তাকে আশীর্বাদ করলেন।

2/6ভাই দুজ সম্পর্কিত আরেকটি পৌরাণিক কাহিনি শ্রী কৃষ্ণের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই অনুসারে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রাক্ষস নরকাসুরকে বধ করে দ্বারকায় ফিরে আসেন। কৃষ্ণর বোন সুভদ্রা তাকে ফল, ফুল, মিষ্টি এবং অনেক প্রদীপ জ্বালিয়ে স্বাগত জানান। ভগবানের কপালে তিলক লাগিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

3/6এ বিষয়ে রাজা বলি সম্পর্কিত একটি পৌরাণিক কাহিনি প্রচলিত রয়েছে। ভগবান বিষ্ণু বলির প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং তার সম্মুখে আবির্ভূত হন তখন বলি বর চেয়েছিলেন যেন ভগবান বিষ্ণু পাতাল লোকে বলির দ্বার পালক হন। ভগবান বিষ্ণু তাতে সম্মত হয়ে বলির দ্বার পালক হয়েছিলেন। কিন্তু এই কথা মা লক্ষ্মী নারদ মুনির কাছ থেকে শুনতে পেয়ে অত্যন্ত দুঃখিত হয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন তার স্বামী তার কাছে ফিরে আসুক, তাই তিনি রাজা বলির কাছে গিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে তাঁর কোনও ভাই নেই, রাজা বলি যেন তার ভাই হন। এতে তিনি অত্যন্ত খুশি হবেন। রাজা বলি সম্মত হন। মা লক্ষ্মী রাজা বলি কে তিলক লাগান হাতে রক্ষা সূত্র বেঁধে দেন। রাজা বলি তার বদলে তাকে কোনও প্রার্থনা করতে বললে মা লক্ষ্মী নারায়ণকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রার্থনা করেন। রাজা বলি তাতে সম্মত হন এবং নারায়ণ এভাবে দ্বার পালক হিসাবে পাতাল লোকে থাকার থেকে মুক্তি লাভ করেন। সেই সময় থেকে এইভাবে ভাই ফোঁটা উৎসব শুরু হয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন।

4/6ভাই ফোঁটার দিন ভাই বোনের একসঙ্গে যমুনায় স্নান করা শুভ বলে মনে করা হয়। ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনায় এই দিনে বোনেরা বাড়ির বাইরে যমের নামে প্রদীপ জ্বালান। এতে অকাল মৃত্যুর ভয় দূর হয়।

5/6এই দিনে বোনদের যমের পুজো করা উচিত এবং প্রার্থনা করা উচিত যাতে তাদের ভাইকে যম দীর্ঘায়ু ব্যক্তি হওয়ার আশীর্বাদ করেন।

6/6এই দিনে, আপনার ভাইকে ফোঁটা দেওয়ার আগে, ফল, ফুল, প্রদীপ, মিষ্টি, সুপারি ইত্যাদি দিয়ে পুজোর থালা সাজান। ঘি এর প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করুন এবং শুভ সময় দেখে তিলক করুন। এরপর ভাইকে পান, মিষ্টি ইত্যাদি খাওয়ান। ভাইয়ের উচিত তার বোনকে রক্ষা করার এবং তাকে উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করা।

পরবর্তী ফটো গ্যালারি

Bhai Phonta: ভাইফোঁটার সঙ্গে জড়িয়ে শুধু যম নয় আছেন মা লক্ষ্মীও, কীভাবে শুরু হয়েছিল এই প্রথা

Latest News

IPL 2025 News in Bangla

Trending Topics

Sections

বাংলার মুখ

ময়দান

ক্রিকেট

ভাগ্যলিপি