পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের চব্বিশ পরগনা; কলিকাতা; হাওড়া; বর্ধমান; বীরভূম; মেদিনীপুর প্রভৃতি অঞ্চলসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খুব গুরুত্বের সঙ্গে ওলাইচন্ডী দেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সকল হিন্দুপ্রধান অঞ্চলে শনি অথবা মঙ্গলবার; দিবি ওলাইচন্ডীর পূজা হয় এবং পূজায় নিরামিষ নৈবেদ্য দেওয়া হয়। শাস্ত্র অনুযায়ী বলা হয়ে থাকে পূজার পৌরহিত্যে যেকোনো বর্ণ বা সম্প্রদায়ের লোকের; এমন কি নারীরও অধিকার আছে। ওলাইচন্ডী দেবীর পূজা তিন রকমের হয়ে থাকে।
প্রতি শনিবার এবং মঙ্গলবার অনাড়ম্বরে যে পূজা হয়; তা বারের পূজা নাম পরিচিত। কারও মানত উপলক্ষে সামান্য আড়ম্বরে র সঙ্গে যেকোনো সময়; এঁর পূজা অনুষ্ঠিত হতে পারে। তাছাড়া কোথাও কলেরা রোগ মহামারী আকারে দেখা দিলে; সে এলাকার লোকজন গ্রামের মোড়লের নেতৃত্বে সমষ্টিগতভাবে এঁর পূজা দেয়।
শাস্ত্রমতে ওলাইচন্ডী অন্যতম লৌকিক দেবতা। তিনি ওলাউঠা বা বিসূচিকা বা কলেরা রোগের অধিষ্টাত্রী দেবী। তিনি ওলাইচন্ডী; ওলাবিবি; বিবিমা নামেও পরিচিত। প্রাচীন সময় ওলাদেবী অসাম্প্রদায়িক দেবতা অর্থাত্ ধৰ্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এঁর পূজা করা হত। ওলাইচন্ডী দেবীর পূজা এককভাবেও হয়ে থাকে। আবার ঝোলাবিবি; আজগৈবিবি; চাঁদবিবি; বাহড়বিবি; ঝেটুনেবিবি ও আসনবিবি এই ছয়জনের সঙ্গে একত্রেও হয়। এঁদের একত্রে বলা হয় সাতবিবি। করো কারো মতে এঁরা ব্রাহ্মী,মহেশ্বরী, বৈষ্ণবী; বারাহী, প্রভৃতি পৌরাণিক দেবীর লৌকিক রূপ। শনি এবং মঙ্গলের প্রকোপ থেকে বাঁচতে হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে এই দেবীর পুজো করা হয়।
বিশেষজ্ঞ: মনোজিৎ দে সরকার
যোগাযোগ: 8777679776