বৈদিক পঞ্জিকা অনুযায়ী এমন পাঁচটি মাস থাকে, যার পৃথক মাহাত্ম্য রয়েছে। এদের পঞ্চক বলা হয়। প্রতিটি মাসের পঞ্চক পৃথক পৃথক হয়ে থাকে। কোনও মাসে পঞ্চক থাকলে শুভ কাজ করা যায় না, আবার কোনও কোনও মাসে পঞ্চক সত্ত্বেও শুভ কাজ করা যায়। চলতি বছর ২৫ এপ্রিল ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে পঞ্চকের সূচনা হবে। ২৯ এপ্রিল, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৩ মিনিটে সমাপ্ত হবে এটি।
বৈদিক জ্যোতিষ অনুযায়ী চন্দ্র গ্রহ ধনিষ্ঠা নক্ষত্রের তৃতীয় পর্যায় ও শতভিষা, পূর্বাভাদ্রপদ, উত্তরাভাদ্রপদ ও রেবতী নক্ষত্রের চার পর্যায় ভ্রমণ করলে, সেই সময়কালটি পঞ্চক হিসেবে গণ্য। আবার কুম্ভ ও মীনে চন্দ্রের গোচর হলেও পঞ্চকের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ধনিষ্ঠা, শতভিষা, পূর্বাভাদ্রপদ, উত্তরাভাদ্রপদ ও রেবতীর নক্ষত্রে সৃষ্ট বিশেষ যোগকে পঞ্চক বলা হয়।
২৫ এপ্রিল, বৈশাখ মাসের কৃষ্ণ পক্ষের দশমী তিথিতে পঞ্চকের সূচনা হবে। ২৯ এপ্রিল সমাপ্ত হবে পঞ্চক। এদিনই রাশি পরিবর্তন করবে শনি। এ কারণে এই মাসের পঞ্চকে বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ মনে করা হচ্ছে।
পঞ্চকে ভুলেও করবেন না এই কাজ
জ্যোতিষ অনুযায়ী পঞ্চকের সময় পাঁচটি করা উচিত নয়।
১. প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী পঞ্চকের সময় খাটিয়া তৈরি করা শুভ নয়। এমন করলে ব্যক্তির জীবনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
২. পঞ্চককালে ঘাস, কাঠ ইত্যাদি জ্বলনশীল পদার্থ একত্রিত করতে নেই।
৩. পঞ্চকের সময় দক্ষিণ দিকের যাত্রা করা উচিত নয়। দক্ষিণ দিককে যম ও পূর্বপুরুষদের দিক মনে করা হয়। তাই উপরিউক্ত নক্ষত্রে দক্ষিণ দিকে যাত্রা করবেন না।
৪. জ্যোতিষ অনুযায়ী পঞ্চককালে বাড়ির ছাদ নির্মাণ করবেন না। এর প্রভাবে বাড়িতে কলহ ও আর্থিক লোকসান হতে পারে।
৫. পঞ্চকে শয্যা নির্মাণও বর্জিত।
পঞ্চক কালে মৃত্যু হলে
জ্যোতিষে পঞ্চককালে মৃত্যু হওয়াকে অশুভ মনে করা হয়। মনে করা হয়, এ সময় কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে পরিবারে জনহানি হতে পারে। এর থেকে মুক্তি পেতে মৃত ব্যক্তির শবের সঙ্গে ৫টি আটা বা কুশের পুতুল রাখা হয়। এই উপায় পঞ্চক দোষ সমাপ্ত হয়।