চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় হনুমান জয়ন্তী। আজ, শনিবার বজরংবলীর জন্মোৎসব পালিত হচ্ছে। এদিন নিয়ম মেনে পুজো করলে সমস্ত বাধাবিঘ্ন দূর হয়। ব্যক্তি কাঙ্খিত ফল লাভ করে। এদিন বজরংবলীর পুজোর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এ ছাড়াও এদিন কিছু বিশেষ উপায় করলে সমস্ত সমস্যা দূর করা যায়। হনুমান জয়ন্তীর দিনে অল্প একটু সিঁদুর নিয়ে কয়েকটি উপায় করলে ভাগ্য চমকে যেতে পারে। কী উপায় করবেন জেনে নিন—
১. ঘিয়ে সামান্য সিঁদুর মিশিয়ে বজরংবলীকে এর প্রলেপ লাগান। এর ফলে বজরংবলী প্রসন্ন হন ও নিজের ভক্তদের ভয় এবং বাধা থেকে মুক্ত করেন।
আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন পর রাশি পরিবর্তন এই গ্রহের, সৌভাগ্যের ঝুড়ি উপুড় করে দিচ্ছে এই জাতকদের
২. ঘিয়ে মেশানো সিঁদুর দিয়ে কাগজে একটি স্বস্তিক আঁকুন। এই কাগজটিকে বজরংবলীর হৃদয়ে লাগিয়ে নিজের লকারে রেখে দিন। এর ফলে অনাবশ্যক ব্যয় কমবে ও অর্থ বৃদ্ধি হবে।
৩. যে মেয়েদের বিবাহে বাধা আসছে, তাঁরা বজরংবলীর চরণে সামান্য সিঁদুর অর্পণ করে শীঘ্র বিবাহের জন্য তাঁর কাছে প্রার্থনা করুন। এর পর মাথায় এর তিলক করুন। শীঘ্র বিবাহ সম্পন্ন হবে।
৪. সরষের তেলের মধ্যে সিঁদুর মিশিয়ে বজরংবলীকে লাগান। তার পর বাড়ির প্রবেশদ্বার ও বাড়ির অন্যান্য প্রবেশকক্ষের দরজায় সেই সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন বানান। এর ফলে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে পারবে না। পাশাপাশি অর্থ বৃদ্ধি হবে।
৫. সংকট মুক্তির জন্য ৫ মঙ্গলবার এবং ৫ শনিবার চামেলির তেল এবং সিঁদুর অর্পণ করুন বজরংবলীকে। এর পর ছোলা ও গুড়ের ভোগ নিবেদন করুন। দরিদ্রদের মধ্যে সেই প্রসাদ বিতরণ করে দিন।
আরও পড়ুন: সোমবার অফিস খুললেই পেতে পারেন সুখবর, ভালো সময় চলছে এই রাজির জাতকদের
৬. চাকরি লাভের জন্য বজরংবলীর পায়ে সিঁদুর অর্পণ করুন ও সাদা কাগজে স্বস্তিক আঁকুন। এই কাগজ সব সময় নিজের কাছে রাখবেন, এর ফলে সমস্ত সমস্যা দূর হবে।
৭. ঋণমুক্তির জন্য চামেলির তেলে সিঁদুর মিশিয়ে নিন। নিজের বয়সের সমসংখ্যক অশ্বত্থ পাতা নিয়ে তাতে সেই সিঁদুর দিয়ে রাম লিখে বজরংবলীকে অর্পণ করুন। শীঘ্র ঋণমুক্ত হবেন।