অপেক্ষার হয়েছে অবসান। অযোধ্যার রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার। কর্নাটকের মাইসুরুর ভাস্কর অরুণ যোগীরাজের খোদাই করা রামলালার ৫১ ইঞ্চি দীর্ঘ মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছে গর্ভগৃহে। রামভক্তরা মুগ্ধ অরুণ যোগীরাজের তৈরি এই মূর্তি দেখে। মূর্তিটির মুখে একদিকে যেমন এক পাঁচ বছরের শিশুর পবিত্রতা রয়েছে, তেমনই রয়েছে ঐশ্বরিক ভাবও। প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, রাম ভক্তরা মনে মনে রামলালার যে রূপ কল্পনা করতেন, তাই মূর্ত করে তুলেছেন অরুণ যোগীরাজ। তবে, রামলালার আরও দুটি মূর্তি তৈরি করা হয়েছিল গর্ভগৃহে স্থাপনের জন্য। এবার সামনে এল সেই দুই মূর্তির ছবিও।
আগেই রাম মন্দির তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের কর্তারা জানিয়েছিলেন, রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে স্থপনের জন্য রামলালার তিনটি মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে। অরুণ যোগীরাজ ছাড়া, বাকি মূর্তি দুটি তৈরি করেন কর্নাটকের সিরসির ভাস্কর গণেশ ভাট এবং রাজস্থানের জয়পুরের ভাস্কর সত্যনারায়ণ পান্ডে। ট্রাস্ট জানিয়েছিল, রামলালা মূর্তিটিতে রামকে শিশু রাম হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে। এই মূর্তিটিতে পাঁচ বছর বয়সী শিশুর কোমলতাকে জীবন্ত করে তুলেছেন ভাস্কর। আর সেটিই গর্ভগৃহে স্থাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে, মূর্তিটির হাতে থাকছে তীর-ধনুক। কর্নাটকের প্রখ্যাত ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ এই মূর্তিটি খোদাই করেছেন। ৩০০ কোটি বছরের পুরানো নীলচে কালো রঙের কৃষ্ণ শিলা দিয়ে মূর্তিটি তৈরি করেছেন তিনি।
মজার বিষয় হল, কর্নাটকের অপর ভাস্কর গণেশ ভাটও রামলালার একটি শ্যামল মূর্তিই (কালো রঙের) তৈরি করেছেন। মূর্তি তৈরিতে তিনি ব্যবহার করেছেন নেল্লিকারি পাথর। অরুণ যোগীরাজের মতোই গণেশ ভাটও একটি একক পাথর কেটে কেটে রামলালার মূর্তিটি তৈরি করেছেন। হোয়সল শৈলীতে মূর্তিটির পায়ের নীচে এবং পিছনে পদ্মের পাপড়ি খোদাই করা আছে। মূর্তির চারপাশে রয়েছে ব্রহ্মা, লক্ষ্মী, হনুমান, গরুড় ইত্যআদি মূর্তি।
অন্যদিকে রাজস্থানের জয়পুরের শিল্পী সত্যনারায়ণ পান্ডে তৈরি করেছেন সাদা মার্বেল পাথরের রামলালার মূর্তি। মূর্তিটি একটি খিলানের মধ্যে রয়েছে। খিলানের পাশে খোদিত রয়েছে ভগবান বিষ্ণুর বিভিন্ন অবতার। রাম ভক্তরা এই মূর্তিটি দেখে প্রশংসা করেছেন। তবে, অনেকেই বলেছেন মূর্তিটিতে রামলালার বয়স কিছুটা বেশি দেখাচ্ছে। গর্ভগৃহে স্থান না পেলেও, এই মূর্তি রাম মন্দিরের প্রথম তলে স্থাপন করা হবে। যেহেতু এই মূর্তির জন্য এখনও নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা হয়নি, তাই অপর মূর্তিটি কোথায় রাখা হবে, তাও এখনও ঠিক করা হয়নি।