পিতৃপক্ষে পিতৃপুরুষদের তর্পণ করা হয়। এর ফলে তাঁদের আত্মা শান্তি লাভ করে। অনেকে এ সময় বিধি মেনে শ্রাদ্ধ কর্ম করেন এবং ব্রাহ্মণদের ভোজন করান। এর ফলে পূর্বপুরুষরা প্রসন্ন হন এবং পরিবারের সদস্যদের সাফল্য ও উন্নতির আশীর্বাদ দেন। চলতি বছর ২০ সেপ্টেম্বর থেকে পিতৃপক্ষ শুরু হয়েছে এবং শেষ হবে ৬ অক্টোবর।
এ সময় পূর্বপুরুষদের নামে দান-পুণ্য করা উচিত। সম্ভব না-হলে মৃত্যু তিথির দিনে বিধিবদ্ধ ভাবে শ্রাদ্ধ করুন। মনে করা হয় যে ব্রাহ্মণদের মুখের দ্বারাই দেবতারা হব্য ও পিতৃ কব্য গ্রহণ করে থাকেন। পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধে কোনও ধরনের অভাব থেকে গেলে, তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যান। এর ফলে জীবনে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
শ্রাদ্ধকর্মের পর ব্রাহ্মণদের ভোজন করানো উচিত। ভোজন করানোর সময় কোন কোন বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত জেনে নিন।
১. দুপুরে শ্রাদ্ধ করুন- শাস্ত্রে সকাল ও সন্ধের সময় দেবকার্যের জন্য নির্ধারিত। আবার দুপুরের সময় পিতৃপুরুষদের জন্য। তিথি মেনে শ্রাদ্ধ করুন এবং দক্ষণিণ দিকে কুশ বা কাঠের আসনের ওপর বসিয়ে ভোজন করান। দক্ষিণ দিক যমের এবং পিতৃপুরুষরা এদিক থেকেই যাতায়াত করে।
২. কোন বাসন ব্যবহার করবেন না
ব্রাহ্মণদের ভোজন করানোর জন্য পিতল, রুপো, কাঁসা ইত্যাদি বাসন ব্যবহার করা উচিত। লোহার বাসনে ভুলেও ভোজন করাবেন না। এই বাসনকে অশুভ মনে করা হয়। শ্রাদ্ধের দিনে ব্রাহ্মণদের গোরুর দুধ দিয়ে তৈরি জিনিস খেতে দেওয়া উচিত।
৩. মৌন থেকে ভোজন করান- মৌন থেকে ব্রাহ্মণদের ভোজন করান, যাতে পিতৃপুরুষদের কোনও সমস্যা না-হয়। মনে করা হয় কথা বললে পিতৃপুরুষদের ভোজন পৌঁছয় না।
৪. দক্ষিণ দিকে প্রদীপ জ্বালান- শ্রাদ্ধের দিনে দক্ষিণ দিকে পিতৃপুরুষদের নামে প্রদীপ জ্বালানো উচিত। মনে করা হয় এমন করলে পিতৃপুরুষ প্রসন্ন হন এবং দীর্ঘায়ু, মোক্ষ, ধন বৃদ্ধি, রাজ্যভোগের আশীর্বাদ লাভ করা যায়।