আজ, (২ জানুয়ারি রবিবার) বছরের প্রথম অমাবস্যা তিথি। পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যাকে পৌষ অমাবস্যা বলা হয়। এ দিন পবিত্র নদীতে স্নান ও দানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পৌষ অমাবস্যার দিনে পিতৃপুরুষদের শান্তির উপায় করতে পারেন। ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী, পিতৃদোষ থেকে মুক্তির জন্য অমাবস্যা তিথিকে উত্তম। আবার এই পৌষ অমাবস্যায় সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ সৃষ্টি হয়েছে।
অমাবস্যা তিথি শুরু- ২ জানুয়ারি রাত ৩ টে ৪১ মিনিট থেকে।
অমাবস্যা তিথি সমাপ্ত- ৩ জানুয়ারি রাত ১২ টা ০২ মিনিটে।
অমাবস্যায় সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ শুরু- সকাল ৭ টা ১৪ মিনিট থেকে।
অমাবস্যায় সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ সমাপ্ত- বিকেল ৪ টা ২৩ মিনিটে।
অমাবস্যার দিনে পবিত্র নদীতে স্নান করা উচিত। সম্ভব না হলে বাড়ির জলে গঙ্গাজল মিশিয়ে স্নান করুন। তারপর স্বচ্ছ বস্ত্র পরে সূর্যকে জলের অর্ঘ্য দিন। এরপর দরিদ্র, ব্রাহ্মণ, অসহায়দের অন্ন, গরম কাপড়, প্রয়োজনীয় বস্তু ইত্যাদি দান করতে পারেন। অমাবস্যার দান করার ফলে পুণ্য লাভ সম্ভব।
অমাবস্যায় পিতৃদোষ থেকে মুক্তির উপায়
১. অমাবস্যার দিন স্নানের পর পূর্বপুরুষদের কালো তিল ও জল অর্পণ করুন। তারপর তাঁদের স্মরণ করে সুখ-শান্তির আশীর্বাদ প্রার্থনা করুন।
২. যে ব্যক্তির ওপর পিতৃদোষ থাকে, তাঁদের অমাবস্যার দিনে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ, পিণ্ডদান ও শ্রাদ্ধকর্ম করা উচিত। এমন করলে পূর্বপুরুষরা প্রসন্ন হন, তাঁদের আত্মা তৃপ্ত হয়।
৩. অমাবস্যার দিনে কাক, কুকুর, গরুকে নিজের খাবার থেকে এক অংশ বের করে খাওয়ানো উচিত। ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী, এর ফলে পূর্বপুরুষরা সেই ভোজন লাভ করে। পিতৃদোষ থেকে মুক্তিতে সাহায্য করে এই উপায়।
৪. অমাবস্যার দিনে, দরিদ্র, অসহায় এবং ব্রাহ্মণদের ভোজন করানো উচিত। এর ফলে পিতৃপুরুষরা প্রসন্ন হন।
৫. উপরোক্ত কোনও উপায় করতে না পারলে এই সরল কাজ করে তাঁদের প্রসন্ন করতে পারেন। স্নানের পর পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তাঁদের উদ্দেশে বলুন যে, পিতৃগণ আমি নিজের বচন দিয়ে সকলকে তৃপ্ত করছি। আপনারা সকলেই এর দ্বারা তৃপ্ত হয়ে যান এবং পরিবারে সুখ-শান্তির আশীর্বাদ দিন।