বাংলা নিউজ > ভাগ্যলিপি > Pranam Health Benefits: বিজয়ায় বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন? সনাতনি প্রথার পিছনে কি আছে কোনও বিজ্ঞান
হালে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করা নিয়ে নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার পিছনে সনাতনি প্রথা ছাড়া আর কিছু নেই। কিন্তু এর বিরুদ্ধ মতও রয়েছে। দেখে নেওয়া যাক, সেটি কী।
কীভাবে প্রণাম করার রীতি?
আদি যুগে গুরুজনের সামনে ষাষ্টাঙ্গে শুয়ে পড়ে তাঁর পায়ের পাতায় হাত এবং মাথা ছুঁয়ে প্রণাম করাই ছিল রেওয়াজ। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রণামের রীতি বদলে গিয়েছে।
- বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যাঁরা বড়দের পায়ে হাত গিয়ে প্রণাম করেন, তাঁরা কোমর থেকে শরীরের উপরিভাগ ঝুঁকিয়ে ডান হাতের আঙুলের ডগা দিয়ে গুরুজনের পায়ের পাতা স্পর্ষ করেন। এবং সেই হাত নিজের কপালে ঠেকান। এর মাধ্যমে গুরুজনের পায়ের ধুলো মাথায় নেওয়া হয় বলে মনে করা হয়।
- হালে অনেকে অবশ্য শরীর ঝোঁকালেও পায়ের পাতা পর্যন্ত স্পর্শ করেন না। গুরুজনের হাঁটু স্পর্শ করে, সেই আহুল মাথায় ঠেকান।
এটি কি শুধু প্রথা? নাকি এর পিছনে রয়েছে বিজ্ঞানও?
অনেকেই মনে করেন এর পিছনে বৈজ্ঞানিক সূত্রও রয়েছে। সেগুলি কী কী।
- এনার্জির দেওয়া নেওয়া: পায়ের পাতা স্পর্শ করার মধ্যে দিয়ে গুরুজনের থেকে কমবয়সিদের মধ্যে এনার্জির দেওয়া নেওয়া হয় বলেই মনে করা হয়।
- ইগো কমায়: বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার মধ্যে দিয়ে আত্মগরিমা কমে। এটা ভালো কাজে উৎসাহ দেয়।
- রক্তসঞ্চালন বাড়ায়: সামনে ঝুঁকে বড়দের পা স্পর্শ করার সময়ে রক্তসঞ্চালন বাড়ে। এমনও মনে করেন অনেকে।
তবে এর বাইরেও অনেকেই মনে করেন, এসবের পাশাপাশি এটি এক ধরনের শরীরচর্চাও। সামনে ঝুঁকে প্রণাম করলে পেশির ব্যায়াম হয়। সেখান থেকেই শুরু এই প্রথার।
ভাগ্যলিপি খবর