সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুযায়ী মেয়েদের হস্তরেখার সূক্ষ্ম অধ্যয়ন করে জানতে পারা যায়, তাঁরা কেমন স্বামী পাবেন। এমনকি স্বামীর স্বভাব এবং ব্যবহার সম্পর্কেও ধারণা করা যায়।
লাভ লাইন:
কনিষ্ঠা আঙুলের মূলে বুধ পর্বত থাকে। আর এর ঠিক নীচে বাইরে থেকে ভেতরের দিকে একটি গভীর সোজা এবং স্পষ্ট রেখা আসতে দেখা যায়। একে বিবাহরেখা বলা হয়। এই রেখার ঠিক নীচে হাতের বাইরে থেকে ভেতরের দিকে এসে একটি বাঁক নিয়ে শনি পর্বত অর্থাৎ মধ্যমা আঙ্গুলের দিকে যে রেখা দেখা যায়, তা হৃদয় রেখা। এই রেখাকে লাভ লাইনও বলা হয়। দাম্পত্য জীবন, প্রেম, জীবনসঙ্গীর ভালোবাসা ইত্যাদি জানার জন্য এই দুই রেখার অধ্যয়ন করা হয়। এই দুই রেখার গভীরতা, আকার-প্রকার, দৈর্ঘ্য অধ্যয়ন আবশ্যক।
যদি বিবাহরেখা নির্দোষ হয় ও হৃদয়রেখাও দোষ মুক্ত হয়:
* দুই রেখা স্পষ্ট, সোজা এবং হৃদয়রেখা বৃহস্পতি পর্বত পর্যন্ত গেলে জীবনসঙ্গী সদাচারী, সংযমী, সভ্য হয়। এদের আয়ও ভালো হয়। অর্থের চেয়ে বেশি পরিবার এবং জীবনসঙ্গীর আনন্দকে এঁরা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
* যদি হৃদয়রেখা হাতের কর থেকে শুরু হয় এবং তার শুরুতে পাখির ডানার মতো সূক্ষ্ম রেখা থাকে, তাহলে জীবনসঙ্গী ভাগ্যশালী হন। এঁরা নিজের কাজের প্রতি প্যাশনেট হন। এমন ব্যক্তি একবার কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করলে, তা শেষ করেই ছাড়েন।
হৃদয় রেখা ত্রুটিপূর্ণ হলে:
* যদি বিবাহরেখা ছোট হয় এবং হৃদয়ে রেখো দোষ পূর্ণ হয়, তা হলে সেই মহিলার স্বামী তাঁকে ভালোবাসে না। এমন ব্যক্তি সব সময় নিজের দায়িত্ব থেকে পালাতে থাকে।
* যদি বিবাহরেখা শেষে গিয়ে দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়, আর তার একটি অংশ হৃদয়রেখার সঙ্গে মিলে যায়, তাহলে এমন জীবনসঙ্গী নিজের মা-বাবা এবং স্ত্রীর মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে অসফল থাকে।
* যদি বিবাহরেখার সমান্তরালে আরেকটি রেখা থাকে ও হৃদয় রেখা গাঢ় লাল হয়, তাহলে এমন জীবনসঙ্গীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থাকে।
* যদি বিবাহ রেখার ওপর কালো তিল থাকে, তাহলে স্ত্রীর আগে জীবনসঙ্গীর মৃত্যু হয়।