রাখী পূর্ণিমার ঠিক পাঁচ দিন আগে শুরু হয় শ্রীকৃষ্ণের ঝুলন তাই এর আরেক নাম ঝুলন পূর্ণিমা এবং এর সাত দিন পর হয় শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী এই দুই লীলার মাঝে শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই রাখী উৎসব হয় বলে একে রাখি পূর্ণিমা বলা হয়।
এই পবিত্র তিথিতে কিছু নিয়ম মেনে যদি রাখী পড়ানো হয় তাহলে সৌভাগ্যবৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না।
১) রাখী পূর্ণিমার দিন রাখী পরানোর উদ্দেশ্যে যে রাখী আনা হয় তা যেন অবশ্যই কিছুক্ষণ বাড়ির ইষ্ট দেবতার চরণে রেখে তারপরে ভাইয়ের হাতে পড়ানো উচিত।
২) রাখী পরানোর সময় অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত, ভাইয়ের মুখ যেন পূর্ব অথবা উত্তর দিকে থাকে।
৩) রাখী পরানোর সময় অবশ্যই এই মন্ত্র পাঠ করা উচিত
মন্ত্র –ওঁ ত্বয়ি রাত্রি বসামসি
স্বপিষ্যামসি জাগৃহি ।
গোভ্যোনঃ শর্ম য়চ্ছাশ্বেভ্যঃ
পুরুষেভ্যঃ॥
৪) রাখী পরানোর সময় রাখির মঙ্গল থালায় জ্বলন্ত প্রদীপ কুমকুম এবং চন্দন রাখা উচিত।
৫) রাখী বন্ধন উৎসবে কালো রঙের উপহার আদান প্রদান করতে নেই। এবং থালায় কোনও রকম নোনতা খাবার রাখতে নেই , সমস্ত মিষ্টি খাবার পরিবেশন করতে হয়।
৬) এই দিন বাড়িতে সত্যনারায়ণ পূজো করতে হয়, যা বাস্তবমতে সকল নেগেটিভ এনার্জিকে দূর করে পজিটিভ বাতাবরণ তৈরি করে।
৭) বাড়িতে হরে কৃষ্ণ ভজনা করা বা কৃষ্ণ ভজন এই সময় খুবই ভালো।
৮) এই দিন বাড়িতে জোয়ারের জল তুলে এনে গৃহের সর্বত্র কোনায় তা ছড়িয়ে দিলে এবং ওই জল ঠাকুরের স্থানে রেখে দিলে তা অবশ্যই সৌভাগ্য সূচক হবে।
৯) এই দিন গৃহে ঘি এর বাতি, সুগন্ধি ইত্যাদি দ্বারা পজেটিভ বাতাবরণ তৈরি করা উচিত, ইহা বাস্তু মতে খুব শুভ।
বিশেষজ্ঞ: মনোজিৎ দে সরকার
যোগাযোগ: 8777679776.