আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রথযাত্রা আয়োজিত হয়। দেশের সবচেয়ে বড় রথযাত্রা উৎসব হয় পুরীতে। পুরীর রথযাত্রার পিছনে রয়েছে বিরাট ইতিহাস। এখানকার নিয়মগুলিও অনেকের কাছেই অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক। জেনে নিন, রথযাত্রার দিন কী কী হয় এখানে।
কবে শুরু হয়েছিল রথযাত্রা? অনেকেই এজন্য মান্যতা দেন ওড়িশার প্রাচীন পুঁথি ‘ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ’-কে। এই গ্রন্থ অনুযায়ী, মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্নর আমলে জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি তৈরি হয়। সেই সময়েই রথযাত্রাও চালু হয়।
আবার অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, রথযাত্রার ইতিহাস আলাদা। ১০৭৮ সালে তৈরি হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির। ১১৭৪ সালে মেরামতি করানোর হয়। তার পরেই নাকি তা বর্তমান জগন্নাথ মন্দিরের চেহারা নেয়। এর পরে রথযাত্রার সূচনা হয়।
অনেকের বিশ্বাস, রথযাত্রার দিন যদি রথের দড়ি ছোঁয়া যায়, তাহলে তাতে ১০০ যজ্ঞের সমান পূণ্য লাভ হয়।
এছাড়া মনে করা হয়, রথযাত্রায় যাঁরা অংশ নেন, তাঁদের মোক্ষ লাভ হয়।
রথযাত্রার পিছনে পুরাণ কাহিনিও জেনে রাখতে পারেন। পুরাণ অনুযায়ী, একবার সুভদ্রা কৃষ্ণ ও বলরামের কাছে অনুরোধ করেন, তাঁকে নগর দেখানোর জন্য। তখন দুই ভাই ও বোন রথে করে নগর পরিদর্শনে বেরিয়ে পড়েন।
নগরের শেষে গুন্ডিচায় তাঁদের মাসির বাড়ি। এখানে সাত দিন থাকেন তাঁরা।
এর পরে আবার যাত্রা পূর্ণ করে পুরী ফিরে আসেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। সেই দিনটি উলটো রথ হিসাবে পালন করা হয়।