বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে শুক্র গ্রহকে সুখ, সম্পদ, সৌন্দর্য, ঐশ্বর্য, শিল্প, সঙ্গীত, প্রেমের সম্পর্ক ইত্যাদির কারক গ্রহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যে কোনও ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলীতে শুক্রের অবস্থান দেখে বোঝা যায় তার জীবনে দাম্পত্য সুখ আছে কি না। তার প্রেমের সম্পর্ক সফল হবে নাকি ব্যর্থ হবে। সাধারণত শুক্রের লগ্নে অবস্থান ব্যক্তিটিকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলে। মানুষ খুব দ্রুত তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং তারা জীবনের সকল প্রকার ভোগ-বিলাসের সুযোগ-সুবিধা পায়, কিন্তু শুক্রের দোষে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জীবনে উল্টো ফল ভোগ করতে হয়।
কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীতে শুক্র গ্রহ অশুভ হলে তার সব ধরনের যৌন রোগ, দুর্বলতা, আর্থিক ক্ষতি, ধন-সম্পদের ক্ষতি, প্রেমের সম্পর্কে ব্যর্থতা এবং দাম্পত্য সুখ কমে যায়। শুক্র দোষও আপনার আচরণের সাথে সম্পর্কিত। আপনি যদি আপনার স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন তবে আপনাকে শুক্র দোষের কুফল ভোগ করতে হবে। আসুন জেনে নিই শুক্র গ্রহকে মজবুত করার সহজ উপায়।
মা লক্ষ্মীর পূজা করুন: শুক্রের আশীর্বাদ পেতে, বিশেষ করে শুক্রবারে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করুন এবং পূজায় পদ্মফুল অর্পণ করুন। একই সাথে লক্ষ্মী সুক্ত পাঠ করুন।
শিবের সাধনা ফলদায়ক: শুক্র গ্রহের সঙ্গে যুক্ত দোষ-ত্রুটি দূর করতে ভগবান শিবের পূজাও খুব ফলদায়ক। শুক্রের আশীর্বাদ পেতে, প্রতিদিন সাদা ফুল দিয়ে ভগবান শিবের পূজা করুন।
রুদ্রাক্ষ দ্বারা শুক্র দোষ দূর হবে: শুক্র গ্রহের সঙ্গে যুক্ত দোষ দূর করতেও রুদ্রাক্ষ পরা খুবই শুভ। শুক্রের আশীর্বাদ পেতে ছয় মুখী রুদ্রাক্ষ পরতে হবে। ছয় মুখী রুদ্রাক্ষ পরলে শুক্রের দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এই মালা থেকে সফলতা আসবে: জন্মকুণ্ডলীতে শুক্র গ্রহ সংক্রান্ত দোষত্রুটি দূর করতে স্ফটিকের মালা পরা খুবই শুভ। শুক্রের আশীর্বাদ পেতে, মহিলাদের হীরা পরিধান করা উচিত এবং পুরুষদের একটি যোগ্য জ্যোতিষীর কাছে তাদের রাশিফল দেখানোর পরে ওপল পরিধান করা উচিত।
শুক্রের দান: শুক্রদেবের আশীর্বাদ পেতে, আপনার বাড়ির প্রতিটি কোণ পরিষ্কার করুন এবং সুগন্ধি ধুপ রাখুন এবং শুক্রবার সাদা রঙের আধিক্যযুক্ত কাপড় এবং রুপোর গয়না পরিধান করুন। আপনি যদি সবসময় সাদা রঙের আধিক্যযুক্ত পোশাক পরতে না পারেন, তবে আপনার পকেটে একটি সাদা রুমাল রাখুন। এছাড়াও সাদা জিনিস যেমন চিনি, দুধ, চাল, রূপা, সুগন্ধি ইত্যাদি দান করুন।
(উপরোক্ত তথ্যে এটা কখনই দাবি করা হচ্ছে না যে এটা পূর্ণত সত্য এবং সঠিক৷ এব্যাপারে বিশদ জানতে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত)