জীবনে আগত নানা সমস্যার জন্য শুধুমাত্র শয়নকক্ষ, রান্নাঘর বা আসবাবের বাস্তু দোষই দায়ী নয়। বরং এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে স্নানঘর ও শৌচালয়ের সঙ্গে জড়িত বাস্তুদোষ। বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, বাথরুম এবং শৌচালয় নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করলে জীবনে নানা সমস্যা, আর্থিক অনটন দেখা দেয়। এখানে বাথরুমের সঙ্গে জড়িত কিছু বাস্তু নিয়ম সম্পর্কে জানানো হল, যা মেনে চললে নানান সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
বাস্তু অনুযায়ী বাথরুমের নিয়ম
১. বাড়ির উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম কোণে বাথরুম থাকা উচিত। দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাথরুম তৈরি করবেন না।
২. রান্নাঘরের সামনে বা পাশে বাথরুম নির্মাণ করবেন না।
৩. নীল রঙের বালতি বা মগ রাখুন বাথরুমে।
৪. অনেকের বাড়িতে বাথরুমের দরজার সামনে আয়না থাকে। বাস্তু মতে, এর ফলে নেতিবাচক শক্তির প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
৫. বাথরুমে উত্তর বা পূর্বের দেওয়ালে আয়না লাগাবেন।
৬. চতুর্ভূজাকৃতি বা আয়তাকৃতি আয়না লাগাবেন।
বাথরুমের দেওয়াল ও টাইলসের রঙ
বাথরুমে সর্বদা হালকা রঙ ব্যবহার করবেন। বাথরুমে জানালা তৈরি করতে ভুলবেন না। এর ফলে নেতিবাচক শক্তি বাড়ি থেকে নির্গত হওয়ার পথ পাবে। সম্ভব হলে পূর্ব-উত্তর বা পশ্চিম দিকে জানালা তৈরি করবেন।
বাথরুমে ইলেকট্রনিক্স
ইলেকট্রনিক্স জিনিস যেমন, গিজার, পাখা, সুইচবোর্ড দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখতে হবে।
দরজা
বাথরুমের দরজা সবসময় বন্ধ রাখা উচিত। দরজা খোলা থাকলে বাথরুমের নেতিবাচক শক্তি সম্পূর্ণ বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।
কল ও জল
বাথরুমে জলের বালতি বা টব, সবসময় ভরে রাখবেন। অথবা খালি রাখলে এটি উল্টো করে রাখবেন। এর ফলে পরিবারে সুখসমৃদ্ধি বজায় থাকে। আবার কল থেকে জল পড়তে থাকা শুভ নয়। কল খারাপ হয়ে গেলে শীঘ্র ঠিক করিয়ে নিন। কারণ এর ফলে আর্থিক লোকসান হতে পারে। বাথরুম পরিষ্কার রাখলে আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে এবং স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
টয়লেট সিট
বাস্তু শাস্ত্রের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী বাথরুম বা স্নান ঘর এবং শৌচালয় এক সঙ্গে থাকা উচিত নয়। স্নানঘরকে চন্দ্রের স্থান মনে করা হয়। অন্য দিকে শৌচালয় রাহু-কেতুর সঙ্গে জড়িত। উভয়ের মধ্যে শত্রুতা রয়েছে। তাই বাথরুম ও শৌচালয় পৃথক থাকাই শ্রেয়।
কিন্তু বর্তমানে ফ্ল্যাটে তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এক সঙ্গেই থাকে বাথরুম ও শৌচালয়। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিকে টয়লেট সিট বানিয়ে অশুভ প্রভাব কমিয়ে আনতে পারেন।